দক্ষিনবঙ্গেঁ প্রথম জীবন বিজ্ঞানে বৃত্তি শুরু ‘সিদ্দিকি স্যার’ দের

1118

সংবাদদাতা, দুর্গাপুরঃ- দু’জনেই জীবন বিজ্ঞানের শিক্ষক। অবসর ও নিয়েছেন দুই ভাই। তবে, অবসরের পরও ছাত্র দরদী দুই ‘সিদ্দিকি স্যার’ কিন্তু জীবনের আসল রসায়ন খুঁজে পেয়েছেন ঘুরে ফিরে সেই ছাত্র সেবা তেই। তাই, ‘ছাত্র ইষ্ট প্রকল্পে’ মেধাবী জীবন বিজ্ঞান ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বার্ষিক বৃত্তি’র ব্যবস্থা করলেন তাঁরা।
দুর্গাপুরের ভিড়িঙ্গীঁ ত্রৈলক্যনাথ ইনস্টিট্যুশনের জীবন বিজ্ঞান শিক্ষক গোলাম মহম্মদ সিদ্দিকি আর বেনাচিতি হাইস্কুলের জীবন বিজ্ঞান শিক্ষক কাজী ফজলুর রহমান সিদ্দিকি। এলাকায় সিদ্দিকি স্যার বলেই পরিচিত। তাদের বাড়ী কবি কাজী নজরুল ইসলামের চুরুলিয়া গ্রামে।
ভিড়িঙ্গীঁ স্কুলের যে ছাত্র মাধ্যমিক পরীক্ষায় জীবন বিজ্ঞানে সর্বোচ্চ নম্বর পাবে, তার জন্য ১০ হাজার টাকার বৃত্তি আর উচ্চ মাধ্যমিকে যে ছাত্রী জীব বিদ্যা’য় সর্বোচ্চ নম্বর পাবে ১০ হাজার টাকার বৃত্তি থাকবে তার জন্যও। উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের বৃত্তি হচ্ছে ‘সিদ্দিকি স্যার’ দের মা খায়রুন্নেষা সিদ্দিকির নামে আর মাধ্যমিকের বৃত্তি থাকছে তাঁদের পিতা আবুল হাসেম সিদ্দিকি’র নামে।
“জীবন বিজ্ঞানে এই উদ্যোগ আমাদের রাজ্যে আর কোথাও আছে বলে আমার জানা নেই। গোটা চাকরি জীবনে ওরা দুই ভাই যে ভাবে দরদ দিয়ে ছাত্র ছাত্রীদের পড়িয়েছেন এমন নজিরও কমই আছে”, বললেন দুর্গাপুরের প্রাক্তন মেয়র অপূর্ব মুখারজী। তিনি ঐ স্কুলের পরিচালন সমতির সভাপতি। শনিবার দুপুরে স্কুলের বার্ষিক অনুষ্ঠান চলাকালীন পশ্চিম বর্ধমান জেলার বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) অজয় পালের হাতে দুই ‘সিদ্দিকি স্যার’ মোট কুড়ি হাজার টাকার চেক তুলে দেন। ছিলেন স্কুলের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক সুশীল ভট্টাচার্য, বর্তমান প্রধান শিক্ষক প্রভাকর মন্ডল। সমাজ সেবী সুদেব রায় বলেন, “ওরা দুই ভাই বরাবরই খুন জনপ্রিয় তাদের ছাত্র পড়ানোয় দরদী চেষ্টার জন্য। আজ ওরা আর একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন”। ছিলেন স্কুল পরিচালন সমিতির বরিষ্ঠ সদস্য অচ্যুৎ মুখারজিও। এর আগে ‘সিদ্দিকি স্যার’ ভ্রাতৃদয় তাদের মা ও ঠাকুমার নামে মহকুমা স্কুল ক্রিকেটের ট্রফি দিয়েছেন টানা পাঁচ বছর।


এদিকে, ছাত্র ছাত্রীদের হাতে বৃত্তি ও শংসা পত্র তুলে দিতে পেরে দারুন খুশি দুই সিদ্দিকি স্যার। তাঁরা বললেন, “সারাটা জীবন ধরে জীবন বিজ্ঞান চর্চায় পেয়েছি অনেক ভালবাসা, সন্মান। ছাত্র ছাত্রীদের জন্য এটুকু করতে পেরে আমরা সন্মানিত। আমাদের বাবা, মা’র নামে এই বৃত্তি চলবে বছরের পর বছর। তা উৎসাহিত করবে সব ছাত্র-ছাত্রীকেই”

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here