সংবাদদাতা, বাঁকুড়াঃ- এই মুহূর্তে দেশজুড়ে চলছে লকডাউন গৃহবন্দি দেশবাসী আর তার মধ্যেই চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হল বাকুড়ায় । আজ বাঁকুড়ার তালডাংরা থানার পাঁচমুড়ার এক গ্রামীণ ব্যাংকের গ্রাহকসেবা কেন্দ্রে চুরি করার পর দুষ্কৃতীরা আগুনে পুড়িয়ে দিল সমস্ত নথিপত্র। এছাড়াও গ্রাহকসেবা কেন্দ্রের ভিতরে থাকা একটি আলমারি তুলে নিয়ে গিয়ে ফেলে দেয় পাশের এক ঝোড় জঞ্জালে উপর।
জানা যায় বঙ্গীয় গ্রামীন বিকাশ ব্যাঙ্ক থেকে তিনজন অনুমোদন পেয়ে এই স্থানে তারা গ্রাহক সেবা কেন্দ্র চালাত হাজার হাজার মানুষের পরিষেবা মিলত এখান থেকেই কিন্তু আজ এই গ্রাহক সেবা কেন্দ্রের মালিকরা সাতসকালেই খবর পেয়ে ছুটে এসে দেখে তাদের গ্রাহক সেবা কেন্দ্রে দুষ্কৃতীরা তালা কেটে ভিতরে থাকা সমস্ত জিনিসপত্র আগুন ধরিয়ে দেয়া সহ আলমারি অন্যত্র ফেলে দেওয়া এবং সমস্ত মেশিনপত্র পুড়িয়ে দেয়। চুরির ঘটনা জানাজানি হতেই ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায় তালডাংরা থানার পুলিশ। তবে গ্রাহক সেবা পরিচালনা করা ব্যক্তিদের দাবি এখানে সেরকম ভাবে টাকা রাখা থাকে না তাই তারা টাকা না পেয়ে তাদের সমস্ত মেশিন ও কাগজপত্র পুড়িয়ে দিয়েছে। কোন মানুষ হিংসার ফলে এই কুকর্ম করেছে বলে দাবি করছেন তারা।
ব্যাংক থেকে অনুমোদন প্রাপ্ত এই গ্রাহক সেবা কেন্দ্রের পরিচালনা করেন এমন এক ব্যক্তি পার্থ সারথি প্রামাণিক নামে এক ব্যক্তি জানান তাজা সকাল সকাল বেলাতেই খবর পায় তাদের সিএসইতে কারা যেন চুরির পর সমস্ত কাগজপত্র আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে এবং আলমারি উন্নত একছুটে পাশের এক ঝোপে ফেলে দিয়ে গেছে খবর পাওয়া মাত্রই ছুটে এসে দেখি সমস্ত কিছু জিনিস আগুনে জ্বলে গেছে তাদের এই গ্রাহকসেবা কেন্দ্রে টাকা ছিল না তাই দুষ্কৃতীরা চুরি করার সময় কোন টাকা না পাওয়াতেই সমস্ত কাগজ কে ধরিয়ে দিয়ে জাগুন লাগিয়ে দিয়েছে বলে অনুমান করছে তিনি।
গ্রাহক সেবা কেন্দ্র পরিচালনা করেন আর এক ব্যক্তি অনিমেষ দাস জনান কোন সাময়িক জাতীয় জিনিস দিয়ে দরজার তালা ভেঙ্গে পড় দুষ্কৃতীরা ঢুকে টাকা-পয়সা নেওয়ার জন্য টাকা না পাওয়াতে তারা সমস্ত কাগজপত্র আগুন লাগিয়ে দেয় এমন কি একটি মেশিন ও পুরোপুরি ভাবে পুড়ে যায় প্রায় ১০,০০০ কাস্টমার এখান থেকে পরিষেবা পায় তাদের সমস্ত কাগজপত্র রেজিস্টার সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে হিংসার ফলেই এ রকম কাণ্ড ঘটিয়েছে বলে মনে করছেন এই ব্যক্তিও। এই ঘটনার সঙ্গে কে বা কারা জড়িত রয়েছে তান তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ।