সংবাদদাতা, বাঁকুড়াঃ– এই মুহূর্তে সংবাদ শিরোনামে থাকা ‘আমফান’ ক্রমশ স্থলভাগের দিকে ধেয়ে আসছে। শেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত পূর্ব মেদিনীপুরের দীঘা থেকে ২০০ কিলোমিটারের কিছু বেশী দূরে অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড়। বুধবার বিকেল বা সন্ধ্যের মধ্যে এ রাজ্যের দীঘা বা প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশের হাতিয়ার মাঝখানে এই ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়তে পারে বলেই খবর পাওয়া যাচ্ছে। ‘আমফানে’র প্রভাবে এ দিন সকাল থেকে বাঁকুড়া জেলার বিভিন্ন এলাকায় ঝড়ো হাওয়া সহ বৃষ্টি শুরু হয়েছে। যদিও বাঁকুড়া জেলায় ‘আমফানে’র প্রভাব তেমন পড়ার সম্ভাবনা না থাকলেও কোন ধরণের ঝুঁকি নিতে রাজী নয় বাঁকুড়া জেলা প্রশাসন। ঘূর্ণিঝড় আমফান সতর্কতায় বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছেন বাঁকুড়া জেলা প্রশাসন। তৈরী আছেন বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের কর্মীরাও। বাঁকুড়া জেলা প্রশাসন স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন এ দিন সাধারণ মানুষ যাতে বাড়ির বাইরে না বেরোয়। প্রশাসনের সবুজ সংকেত না পাওয়া পর্যন্ত এই নির্দেশ মেনে চলতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে মৎসজীবিদেরও সতর্ক করা হয়েছে। তারা যাতে স্থানীয় নদী গুলি ও মুকুটমনিপুর জলাধারে মাছ ধরতে না যায়। সব মিলিয়ে আমফান পরবর্ত্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত বাঁকুড়া জেলা প্রশাসন।
এ দিন সকাল থেকে ঝোড়ো হাওয়া সহ বৃষ্টি শুরু হওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে গোটা বাঁকুড়া জেলার স্বাভাবিক জনজীবন। বাঁকুড়ার সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে, না জানি কোন মহাবিপদ ধেয়ে আসে। এ দিন আবার বাঁকুড়া জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিয়েছে। কোথাও দেখা মিলছে ঝড়ো হাওয়া আবার কোথাও বিদ্যুতের তারের উপর বাঁশ ভেঙে পড়েছে ফলে ব্যাহত হচ্ছে বিদ্যুৎ পরিষেবা। আর ঝড় জলের মধ্যেই বিদ্যুৎ দপ্তর এর কর্মীরা পরিষেবা দিতে কাজে হাত লাগিয়েছেন। তবে ‘আমফানে’র প্রভাবে কমবেশি আতঙ্ক গ্রাস করেছে সকলের মধ্যেই। এই যেমন বিষ্ণুপুর শহরে এক বাসিন্দা পুণ্যলতা দাস বলেন , রীতিমতো আমরা আতঙ্কে রয়েছি তার ওপর আমাদের ভাঙা ঘর সে কারণে আতঙ্ক আরো বেশি। সব মিলিয়ে ‘আমফানে’ আতঙ্কে বিপর্যস্ত গোটা বাঁকুড়া জেলাবাসী।