সঙ্গীতা চৌধুরী, বহরমপুরঃ- শিব হচ্ছেন পরম বৈষ্ণব। তিনি কৃষ্ণ ভক্ত। সাত্ত্বিক আহার গ্রহণ করেন। সৃষ্টিকার্য সঞ্চালনের জন্য বিষ্ণু বা কৃষ্ণ তাকে ত্রিশূল প্রদান করেছিলেন যাতে তিনি এই ত্রিলোকের কার্য সম্পন্ন করতে পারেন। পুরাণ অনুসারে যতটুকু জানতে পেরেছি সেই মতে ব্রহ্মা ও শিব উভয়ই সৃষ্টির আদিতে নিজেদের কর্তব্য সম্পর্কে অবগত ছিলেন না। তখন চারিদিকে খালি জল আর জল। উভয়ই কিংকর্তব্যবিমূঢ়। এই অবস্থায় দুজনেই তপস্যা শুরু করেছিলেন।এই পৃথিবীর নিয়ম অনুসারে হাজার হাজার জন্ম লেগেছিল এই তপস্যা পূর্ণ করতে। তপস্যার শেষে উভয় এর বিষ্ণু দর্শন হয়েছিল। বিষ্ণু বা কৃষ্ণ তখন ব্রহ্মা ও শিবকে তাদের কার্য এবং কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন করেন। বিষ্ণুপুরাণে বলা হয়েছে শিব হচ্ছেন মহা বিষ্ণুর অবতার। এই কারণেই বলা হয়ে থাকে হরিহর আত্মা। আপনি শিবকে যখন প্রণাম করছেন তখন শিব কে হয়তো ঈশ্বর রূপে পুজো করছেন কিন্তু তার থেকেও তিনি বেশি খুশি হবেন যদি আপনি তাকে প্রণাম করার সময় তাকে বৈষ্ণব হিসেবে প্রণাম করেন।শিবের প্রনাম মন্ত্র মোটামুটি আমরা সকলেই জানি আপনি যদি নাও জেনে থাকেন তাহলে ইন্টারনেটে সার্চ করলেই পেয়ে যাবেন কিন্তু আজ আমি আপনাদের এমন একটা কথা বলতে চলেছি যা ইন্টারনেটে সার্চ করলেও পাওয়া যাবে না। পুরাতন শাস্ত্রে এর নিদর্শন মেলে।
শিবকে যখন আপনি প্রণাম করতে যাচ্ছেন তার আগে আপনি হরি কে স্মরণ করুন। আর শিবকে প্রণাম করার সময় উচ্চারণ করুন-“হে মহাবিষ্ণুর মহা অবতার”
হ্যাঁ আপনি যদি শিবকে পরম বৈষ্ণব রূপে প্রণাম করেন তাহলে তিনি প্রীত হন আপনার ওপর। আপনি যদি তাকে কৃষ্ণ ভক্ত রূপে প্রণাম করেন তাহলে তিনি আপনার ওপর খুশি হয়ে যান সহজেই। তাকে প্রণাম করার সময় বলুন-হে মহা বিষ্ণুর মহা অবতার শিব আমি আপনাকে প্রণাম জানাচ্ছি।
এর মধ্য দিয়ে শিবপ্রসন্ন হবেন। আর শিবকে প্রসন্ন করতে পারলেই পরমেশ্বর শ্রীকৃষ্ণ প্রসন্ন হবেন। কারণ ভক্তের খুশিতেই তিনি খুশি হন। আর পরমেশ্বর কৃষ্ণের কৃপা প্রাপ্ত হলে এই পৃথিবীতে আপনার আর কোন কষ্টই থাকবে না। কৃষ্ণের কৃপা প্রাপ্ত হলে ভক্তের জীবনে কী কী হয় এই নিয়ে আমি না হয় পরে আবার কোনদিন লিখবো। হরে কৃষ্ণ। রাধে রাধে।