রঞ্জিত সর্দার, বারুইপুরঃ- করনা মোকাবিলায় দীর্ঘদিন লকডাউনে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন বহু মানুষ। তাই পেটের দায়ে পেশা বদল করতে হয়েছে বহু মানুষকেই। অন্যান্য ব্যবসা লাটে উঠলেও, প্রাধান্য বেড়েছে মাস্ক-স্যানিটাইজার ব্যবসা। তাতেই স্বাধীনতা দিবসে নতুন রণকৌশল সাজিয়েছিলন বারুইপুরের মাস্ক ব্যবসায়ীরা। লাঠ দিয়ে তুলেছিলেন তেরঙ্গা জাতীয় পতাকা মাস্ক। ভেবেছিলেন ভারতীয়দের মধ্যে আরও বাড়িয়ে তোলা যাবে দেশাত্মবোধ। ভারতবাসী আরো বেশি করে কিনতে আগ্রহী হবে তিরঙ্গা মাস্ক। বাড়বে চাহিদা, হাতে আসবে বাড়তি মুনাফা। দিন কয়েক আগে শুরুতেই তেমনটাই বোধ করেছিলেন বারুইপুরের মাস্ক ব্যবসায়ীরা। কিন্তু তারা ভুলে গিয়েছিলেন বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে যা কিছু ঠিক ভুল পরামর্শ বা মন্তব্যের সবথেকে বড় প্ল্যাটফর্ম সেই সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাই, দাবার ঘুটি ভুল সাজানোর বুঝতে পারছেন মাস্ক বারুইপুরের ব্যবসায়ীরা। হাতে গোনা কয়েকটা মাস্ক বিক্রি হলেও আর দেখা মিলছে না তিরঙ্গা মাস্ক এর গ্রাহক। তিরঙ্গা মাস্ক থেকে মুখ ফেরাচ্ছেন গ্রাহকরা। লাঠ দিয়ে স্তরে স্তরে গুদামে তিরঙ্গা মাস্ক রাখা থাকলেও মাস্ক ব্যবসায়ীদের উচ্চাকাঙ্ক্ষায় জল ঢেলেছে দেশাত্মবোধ!
অধিকাংশ গ্রাহকদের বক্তব্য, প্রত্যেকটি দেশের জাতীয় পতাকা প্রত্যেকটি দেশবাসীর কাছে অত্যন্ত গর্বের ও আবেগের। তাই ভারতবাসী আবেগে কখনো নিজের মোবাইলের ব্যাক কভারে, কখনো হাতের ব্রেসলেট, কখনো মাথার টুপি-জার্সি-জামা-গেঞ্জি নানান ধরনের নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীতে জাতীয় পতাকার গেরুয়া-সাদা-সবুজ রঙের ব্যবহার করেন। কিন্তু আবেগপ্রবণ হয়ে ভুললে হবে না জাতীয় পতাকার মর্যাদা। মাথায় রাখতে হবে দেশের প্রত্যেকটি নাগরিকের কাছে জাতীয় পতাকা যেমন গর্বের অহংকারের, তেমন সর্বোচ্চ সম্মানেরও বটে। তবে বর্তমান করোনা আবহে একদল অসাধু ব্যবসায়ীরা বাড়তি মুনাফা লাভের আশায় সংক্রমণ মোকাবিলায় অত্যাবশ্যক মাস্কেও জাতীয় পতাকার ব্যবহার করেছেন। তাতেই জাতীয় পতাকার অবমাননা বা আবেগে আঘাত করা হয়েছে বলে মনে করে তিরঙ্গা মাস্ক বয়কটের ডাক দিয়েছে ভারতীয়দের একটা বড় অংশ।
Home Flash News বাড়তি মুনাফা লাভের আশায় করোনা মোকাবিলায় মাস্কে ‘তিরঙ্গা’র ব্যবহার, তিরঙ্গা মাস্ক থেকে...