eaibanglai
Homeএই বাংলায়অবৈধ অনলাইন লোটো খেলার আখড়া গজিয়ে উঠেছে দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চল জুড়ে

অবৈধ অনলাইন লোটো খেলার আখড়া গজিয়ে উঠেছে দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চল জুড়ে

নিজস্ব সংবাদদাতা, দুর্গাপুরঃ- দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চল জুড়ে আনাচে-কানাচে গজিয়ে উঠেছে অবৈধ অনলাইন লোটো খেলার আখড়া বলে অভিযোগ। বিভিন্ন দোকানে, বাজারে, হাটের মধ্যে একটি ছোট্ট কম্পিউটার নিয়ে বসে চলছে এই অবৈধ খেলার রমরমা ব্যবসা| সবচেয়ে বেশি সিটি সেন্টার, বেনাচিতি ট্রাংক রোডে, চন্ডীদাস, মামড়া ও কোকওভেন থানা এলাকায় রমরমিয়ে চলছে এই খেলা| সর্বস্বান্ত হচ্ছেন সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ থেকে চাকরিজীবী মানুষ| বেশ কিছু অসাধু ব্যক্তি তাদের স্বার্থ চরিতার্থ করতে এই রকম অবৈধ অনলাইন লোটো খেলার আখড়া তৈরি করেছেন দুর্গাপুরের বিভিন্ন প্রান্তে| প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো পর্যন্ত কোনো রকম পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি তাদের বিরুদ্ধে| জানা গেছে, দুর্গাপুর শহরের অঙ্গদপুর থেকে শুরু করে মায়াবাজার এলাকা জুড়ে সমস্ত এলাকাতেই রমরমিয়ে চলছে এই অবৈধ জুয়া খেলা| একটি করে কম্পিউটার নিয়ে এই অবৈধ খেলার ব্যবসা ভয়ঙ্কর রূপ নিচ্ছে দুর্গাপুরে| যার পাল্লায় পড়ে হাজার হাজার টাকা খুইয়েছেন সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ থেকে রিকশাওয়ালা, ট্রাকচালক ও চাকরিজীবী| ইতিমধ্যেই অনেকেই সর্বস্বান্ত হয়ে পথে বসেছেন| দুর্গাপুর শহরে অনলাইন লোটো খেলা এমন একটা ব্যবসা যেটি মূলত পুরোটাই বেআইনী এবং কারসাজিতে ভর্তি| ঘন্টায় ঘন্টায় বিভিন্ন নম্বর দিয়ে এবং তাতে পয়সা লাগিয়ে সর্বস্বান্ত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ| মুখে অনলাইন বললেও মোটেও সেগুলি অনলাইন নয়| শুধুমাত্র মানুষকে বোকা বানিয়ে তাদের টাকা আত্মসাৎ করাই এই ব্যবসায়ীদের মূল উদ্দেশ্য| এলাকাবাসীর অভিযোগ পুলিশ প্রশাসনের এক শ্রেণীর অসাধু পুলিশকর্মী সরাসরি জড়িত এই ব্যবসার সাথে| মাসোহারা পায় মাসে মাসে। ডিপিএল কলোনির শনিতলা এবং সিটি সেন্টারের বেশ কয়েকটি জায়গায় অবৈধ এই লোটো খেলার আখড়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে| এলাকাবাসীর অভিযোগ অবৈধ অনলাইন লোটো খেলানোর মাস্টারমাইন্ড অনুপ দাস নামে এক ব্যক্তি যিনি দুর্গাপুর ব্যারেজের ওপার থেকে রোজ একটি লাল রঙের দামি গাড়িতে করে এসে দুর্গাপুরে এই খেলা পরিচালনা করেন। কোকওভেন থানা এলাকার মানুষের আরও অভিযোগ ইউবিআই ব্যাঙ্কের বিপরীতে ও হ্যানিম্যান সরণি রোডের একটি হোটেলের মালিক জনৈক বিনোদ সিং নামে এক ব্যক্তি ও নাকি এই ব্যবসার সাথে সরাসরি ভাবে যুক্ত। কোকওভেন থানা এলাকার মানুষের অভিযোগ, কোকওভেন থানার ডাক মাস্টার ভীম পুলিশ লোহা কারবারের পাশাপাশি এখন সরাসরি মোটা অর্থ মাসোহারার বিনিময়ে মদত দিচ্ছেন এই অবৈধ লোটো খেলাকে|

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments