এই বাংলায় ডেস্ক:- পরীক্ষা দিচ্ছে মেয়ে। বাবা দাঁড়িয়ে আছে বাইরে। মেয়ে চাকরির পরীক্ষাতে পাশ তো করলো কিন্তু মেয়ে নিজে মুখে সেই খবর দিতে পারল না বাবাকে। নিজেও শুনে যেতে পারলো না সুখবর। আর বাবা
তখন ও কী তিনি জানতেন, মেয়ে আর ফিরবে না!!!
বাগপতের ফজলপুরের মেয়ে অংশিকা সিং বিগত কিছু বছর ধরেই পুলিসের চাকরির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এই দিন পুলিশের চাকরির পরীক্ষা ছিলো তার। এই চাকরির পরীক্ষা দিতে ঠিক সময়েই পৌঁছে যান অংশিকা। ১৪ মিনিটে ২.৪ কিমি দৌড় শেষ করেন তিনি। এরপর দৌড় শেষ করে ট্যাকেই
অজ্ঞান হয়ে যান তিনি।
প্রথমদিকে কেউই বিষয়টি ঠিক বুঝতে পারেন না। কিন্তু সময় গড়িয়ে গেলেও তার ঞ্জান আর ফেরেনা। জ্ঞান ফেরাতে পারেননি চিকিৎসকরাও।
পুলিসকর্মীরা সাথে সাথে অংশিকাকে গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু সেখান তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। তখন তার পরিবারের লোকজনকে খবর দেওয়া হয়। অংশিকার সাফল্যের খবর পাওয়ার আশায় মাঠের বাইরে অধীর অপেক্ষা করছিলেন তার বাবা।
কার্ডিয়াক অ্যাটাক হয়েছে তার। বাড়ির বড় মেয়ে সে। তার আরো দুই ভাই আছে। কান্নায় ভেঙে পড়েন অংশিকার বাবা। কেন হল এই রকম ঘটনা? ডাক্তারদের কথা অনুযায়ী, অত্যাধিক পরিশ্রম এর ফলেই এই ঘটনা ঘটেছে।