সংবাদদাতা,কাঁকসাঃ- প্রজাতন্ত্র দিবসে জঘন্য ঘটনা ঘটাল সমাজবিরোধীরা। কাঁকসার এক গৃহশিক্ষিকার বাড়ির সদর দরজায় পায়খানা মাখিয়ে ও বাড়ির সামনে পয়খানা রেখে গেল দুষ্কৃতীরা। ঘটনা কাঁকসার সিলামপুরের। এলাকার বাসিন্দা গৃহশিক্ষিকা ইশমাতারা খাতুন, যিনি এলাকায় সমাজসেবী হিসেবেও পরিচিত। তিনি এলাকায় নিজের উদ্যোগে সমাজ সেবামুলক কাজ করে থাকেন। করোনা আবহে হাটে বাজারে, বিভিন্ন গ্রামে মাস্ক বিলি করেছেন। আবার অরোণ্য সপ্তাহে বৃক্ষরোপন সহ নানান সেবামুলক কাজ করেন। কয়েকদিন আগে কুড়িয়ে পাওয়া টাকা ফিরিয়ে দিয়ে সততার নজির রেখেছেন। এহেন সমাজসেবী ও শিক্ষিকার সঙ্গে এই ধরণের ঘটনা ঘটায় স্তম্ভিত এলাকাবাসী।
জানা গিয়েছে বুধবার প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষ্যে নিজের বাড়িতে পড়ুয়াদের নিয়ে পতাকা উত্তোলনের আয়োজন করেছিলেন ইশমাতারা। কিন্তু সাত সকালে বাড়ির সদর দরজা খুলতেই চোখ কপালে ওঠে তার। তিনি দেখেন সদর দরজায় কে বা কারা পায়খানা লেপে দিয়ে গেছে। এমনকি দরজায় সামনেও পায়খানা ফেলে রেখে গেছে। ঘটনায় রীতিমত আতঙ্কিত হয়ে পড়েন তিনি। সুবিচারের আশায় কাঁকসা থানায় লিখিত অভিযোগও দায়ের করেন তিনি। খবর পেয়ে পুলিশ লোক পাঠিয়ে ওইসব পায়খানা পরিষ্কারের ব্যাবস্থা করে। এরপর খুদে পড়ুয়াদের নিয়ে পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে প্রজাতন্ত্র দিবস পালন করেন ইশমাতারা। ইমশাতারা বাড়িতেই তার খুদে পড়ুয়াদের নিয়ে স্বাধীনতা দিবস, প্রজাতন্ত্র দিবস থেকে শিক্ষক দিবস সহ সমস্ত সামাজিক অনুষ্ঠান পালন করেন।
ইমশাতারার দাবি এটাই প্রথমবার নয়। এর আগেও এলাকার সমাজবিরোধীরা তাকে নানাভাবে হেনস্থা করেছে। এর আগে স্বাধীনতা দিবস ও শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠান চলাকালীন সমাজবিরোধীরা টিন বাজিয়ে উত্যাক্ত করেছে। কখনও আবার ঝাঁঝালো ধোঁয়া দিয়ে উত্যাক্ত করেছে। তিনি বলেন, তবে এদিন যা ঘটেছে তা সমস্ত সীমা ছাড়িয়ে নির্যাতনের পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। যদিও পুলিশ ঘটনার তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে।
অন্যদিকে ইমশাতারার প্রশ্ন দেশের নাগরিক হিসেবে তাহলে কি স্বাধীনতা দিবস, প্রজাতন্ত্র দিবসের মতো জাতীয় উৎসব পালন করতে পারব না?এই ঘটনায় পড়ুয়া বা সমাজের কাছে কি বার্তা যাচ্ছে? যারা এ ধরণের ঘৃন্য ঘটনা ঘটাচ্ছে তারাই বা কি বার্তা দিতে চাইছে? দেশের জাতীয় উৎসবে বাধা দেওয়ার জন্য এ ধরণের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ। সকলেরই এখন একটাই দাবি। পুলিশ দ্রুত ঘটনার তদন্ত করে অপরাধীদের গ্রেফতার করুক।