সঞ্জীব মল্লিক, বাঁকুড়া:-‘কালী-কার্তিকের দেশ’ বলে পরিচিত বাঁকুড়ার প্রাচীণ পৌর শহর সোনামুখীর মানুষ কার্তিক পুজোকে ঘিরে আনন্দ উৎসবে মেতেছেন। এখানে ছোট-বড় মিলিয়ে কয়েকশো কার্তিক পুজো হয়। তার মধ্যে বেশ কয়েকটি রেজিস্টার্ড কার্তিক কার্তিক পুজো কমিটিগুলোর সোনামুখী পৌরসভা থেকে লাইসেন্স প্রাপ্ত তার ভিতরে আঠারোটি রয়েছে এই তালিকার ভিতর। সোনামুখীতে দুর্গাপূজার সময় সেরকম মানুষজনের উন্মাদনা সেভাবে না দেখা গেলেও কার্তিক পুজো বাড়িতে আত্মীয়-স্বজন ভীড় লেগেই থাকে। কার্তিক পূজা যেন সোনামুখী শহরের প্রধান ফেস্টিভ্যাল কার্তিক পূজা তিনদিন ধরে এই পূজাকে ঘিরে ব্যাপক উন্মাদনা থাকে। পুজোর পাশাপাশি কার্তিক ভাসানকে কেন্দ্র করে শহরের কার্নিভালের চেহারা নেয়। বিভিন্ন নামের বিভিন্ন কাত্তিক রয়েছে সে কার্তিককে একে একে এ লাইন দিয়ে সারারাত ধরে গান-বাজনা করে সকালে হয় সেই বিসর্জন এর চলে আসছে কয়েক দশক আগের থেকে তাই কার্তিক পুজোর দিনে মানুষের ঢল চোখে পড়ার মতন।
এদিন সোনামুখী পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ঝিলিক দত্ত এবং মহিষগোট কার্তিক পূজা কমিটির উদ্যোগে বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ১০০ জন গরীব ও দুস্থদের হাতে শীতবস্ত্র তুলে দেওয়া হয় । অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ঝিলিক দত্ত, বিষ্ণুপুর এসডিপিও প্রিয়ব্রত বকশি, সোনামুখী পৌরসভা চেয়ারম্যান সুরজিৎ মুখার্জি, সোনামুখী থানার ওসি আব্দুস সামাদ আনসারি সহ একাধিক বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। ঝিলিক দত্তের উদ্যোগে বস্ত্র দান অনুষ্ঠানকে স্বাগত জানিয়েছেন সোনামুখী শহরবাসী।
এছাড়াও সোনামুখীর ছয়টি কালি কার্তিক পুজো কমিটি কে সোনামুখী পৌরসভা ও সোনামুখী থানার পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। বিষ্ণুপুর এসডিপিও প্রিয়ব্রত বকশি এবং সোনামুখী পৌরসভার চেয়ারম্যান সুরজিৎ মুখার্জি কমিটিদের হাতে সংবর্ধনা ট্রফি তুলে দেন।