সংগীতা চৌধুরী, বহরমপুরঃ- ২০২১ এর ১৪ জানুয়ারি হল মকর সংক্রান্তি। এদিন দক্ষিণায়ন শেষ হয়ে উত্তরায়ন শুরু হবে। আর উত্তরায়নের সূচনার সঙ্গে সঙ্গে যাবতীয় শুভ কর্ম ও মাঙ্গলিক কার্যের সূচনা হবে। মকর সংক্রান্তির দিন স্বয়ং দেবতারা মর্ত্যলোকে নেমে আসেন যজ্ঞের আহুতি নিতে তাই এই দিনের একটি বিশেষ গুরুত্ব আছে। মকর সংক্রান্তির পূন্য কালের সময় মকর সংক্রান্তির গুরুত্ব আজকে বলবো।
মকর সংক্রান্তির পূণ্য কাল ৯ ঘন্টা ১৬ মিনিট অবধি থাকছে। মকর সংক্রান্তির দিন পূণ্য কালের সূচনা হচ্ছে- সকাল ৮ টা ৩০ মিনিট থেকে বিকেল ৫ টা ৪৬ মিনিট অবধি।মকর সংক্রান্তির দিন মহাপূণ্যকাল থাকছে- সকাল ৮ টা ৩০ মিনিট থেকে বেলা ১০ টা ১৫ মিনিট অবধি।
মকর সংক্রান্তির গুরুত্ব-
১। সূর্যের দক্ষিণায়নের ছয় মাসকে দেবতাদের রাত বলা হয়। তাই এই সময় শুভ কাজ করা অনুচিত। অন্যদিকে সূর্যের উত্তরায়নের ছয় মাস কে দেবতাদের দিন বলা হয়। তাই এই সময় যেকোন শুভকার্য , মাঙ্গলিক কার্য করা উচিত।
২। সূর্যের দক্ষিণায়নের সময় যদি কোনও ব্যক্তি দেহত্যাগ করেন তাকে পুনরায় জন্ম গ্রহণ করতে হয়। কিন্তু সূর্যের উত্তরায়ন এর সময় যদি কোনও ব্যক্তি দেহত্যাগ করেন তাহলে তাকে আর জন্ম গ্রহণ করতে হয় না। তিনি পূনর্জন্ম রহিত হয়ে স্বর্গলোকে চলে যান। এই কারণেই মহাভারতে ভীষ্ম দক্ষিণায়নের প্রাণ ত্যাগ না করে উত্তরায়নের মকর সংক্রান্তি অবধি অপেক্ষা করেছিলেন আর তিনি উত্তরায়ণে প্রাণ ত্যাগ করেন।
৩। মকর সংক্রান্তির দিন ধ্যান জপ তপ ইত্যাদি কার্য করলে তার পূণ্য ফল অক্ষয় হয়। কথিত আছে যশোদা মকর সংক্রান্তির দিন উপবাস রেখেই ভগবান কৃষ্ণকে সন্তানরূপে লাভ করেছিলেন।
৪। মকর সংক্রান্তির দিন সূর্যদেব শনিদেবের গৃহে যান। তাই এই দিন শনি জনিত যাবতীয় দোষ কেটে যায়।
৫। মকর সংক্রান্তির দিন বিষ্ণুর বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ থেকে গঙ্গা নির্গত হয়ে ভগীরথের পিছন পিছন কপিল মুনির আশ্রমে যান। এরপর কপিলমুনির আশ্রম থেকে গঙ্গাদেবী সাগরে মিশে যান। তাই বলা হয় মকর সংক্রান্তির তিথিতে গঙ্গা স্নান করলে জীবনের যাবতীয় পাপ ক্ষয় হয়। গঙ্গা দূরে থাকলে নিকটবর্তী জলাশয়ে স্নান করলেও একই ফল লাভ হয়।