সংবাদদাতা, বর্ধমানঃ- হাত পা বেঁধে খুন করা হল এক মহিলা আইনজীবিকে। তার মাথা ভারি ধাতব বস্তু দিয়ে দিয়ে থেঁতলে দেওয়া হয়েছে। বাড়ীতে তিনি একাই থাকতেন। খুন হওয়া আইনজীবির বাড়ির দরজা ভেতর থেকে তালাবন্ধ ছিল। রবিবার সকালে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। বর্ধমান শহর থেকে ছুটে যান আইনজীবিরাও। ঘটনায় বিস্তর চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জেলা জুড়েই।
পঞ্চাশ ছুঁই ছুঁই অবিবাহিতা মিতালি ঘোষ ছিলেন বর্ধমান আদালতের আইনজীবি। তার বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থানার আঝাপুর গ্রামে। মা বাবার মৃত্যুর পর বাড়িতে তিনি একাই থাকতেন। কর্মসূত্রে গ্রামের বাইরে থাকেন তার দুই ভাই। তার এক বোন বিবাহিতা।
রবিবার সকালে বাড়ীর পরিচারিকা বাইরে থেকে অনেক ডাকাডাকিতেও সাড়া না পেয়ে পাড়ায় খবর দেন। এদিন বেলা ১০ টা নাগাদ পুলিশের উপস্থিতিতে দরজা ভেঙ্গে দেখা যায়, বাড়ীর উঠোনে হাত- পা বাঁধা অবস্থায় পড়ে মিতালি। তার মাথায় ক্ষতস্থান থেকে তখনো ঝরছে রক্ত। দ্রুত খবর যায় বর্ধমানের আইনজীবি মহলে। এক ঝাঁক আইনজীবি ছুটে আসেন আঝাপুরে। প্রতিবেশী সুব্রত ঘোষ জানান, ” নিজের কাজ নিয়েই থাকতেন মিতা পিসি। বিশেষ কারো সাথে মেলামেশাও ছিল না। আমাদের অনুমান বাড়ীতে লুঠ করতে এসে দুস্কৃতিদের চিনে ফেলায় এভাবে তাকে মরতে হল”।
বর্ধমান থেকে আঝাপুর আসা আইনজীবিরা বলেন, ” খুনিকে অবিলম্বে ধরতে হবে। ধরা পড়ার পর তাকে আইনী কোনোরকমই সাহায্য আমারা দেব না”।
জেলা পুলিশ জানায়, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।