সংবাদদাতা, বাঁকুড়া:- আজ মা সারদার ১৬২ তম জন্মতিথি দিবস পালন করা হচ্ছে। গোটা দেশের পাশাপাশি বাঁকুড়া জেলাতেও নিয়ম নিষ্ঠা ও যথাযথ মর্যাদার সহিত মা সারদার জন্মতিথি দিবস পালন করা হচ্ছে। বাঁকুড়া শহরের বাঁকুড়া সদর থানার অন্তর্গত মাচানতলা গোলপার্ক মার্কেটের ভেতর ভগ্নপ্রায় অবস্থায় মা সারদার মন্দিরে পূজিত হচ্ছেন মা সারদা।
গোলপার্ক মার্কেটের ভেতর এই মন্দিরটি বহু প্রাচীন। বর্তমানে দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না থাকার কারণে ভগ্নদশায় পরিণত হয়েছে মা সারদার বহু প্রাচীন এই মন্দির। স্থানীয়রা বলছেন বারবার প্রশাসনকে জানিয়েও কোনরকম লাভ হয়নি। প্রশাসনের তরফে মন্দির খতিয়ে দেখা হলেও সহযোগিতার আশ্বাস ছাড়া আর কিছুই মেলেনি। ফলে বর্তমানে মন্দিরের যা অবস্থা তাতে যে কোনো মুহূর্তে ভেঙে পড়তে পারে মন্দির। ঘটতে পারে প্রাণহানির মতো মারাত্মক দুর্ঘটনা।
গোলপার্ক মার্কেটের এক ব্যবসায়ী জিতেন সেন বলেন, এই মার্কেটটি পৌরসভার অন্তর্গত । প্রতিমাসে আমরা ভারা দিই এখন আরও ভাড়া বেড়েছে। বারবার পৌরসভাকে জানানো হলেও মন্দির সংস্কার হয়নি। ১৯৮৪ সাল থেকে মার্কেট স্থাপিত হয়েছে, তখন থেকে আমাদের মন্দির আমরা পৌরসভার সহযোগিতায় এবং আমাদের ব্যবসাদারদের সহযোগিতায় গড়ে তোলা হয়েছিল। যেহেতু গোটাটাই পৌরসভার আন্ডারে রয়েছে তাই আমরা কিছু করতে গেলে বাধা আসতে পারে এটা আমরা মনে করি সেজন্য আমরা কিছু করতে পারিনি।

বাঁকুড়া পৌরসভা ভাইস চেয়ারম্যান দীলিপ আগারওয়াল বলেন, মন্দিরটি আমি এবং পৌরপ্রধান দেখে এসেছি এবং তাদেরকে দু বছর হয়ে গেল প্রতিশ্রুতি দিয়েছে মন্দির সংস্কার করার জন্য। কিন্তু যে কোনো কারণেই হোক সংস্কার হয়নি। আমরা চেষ্টা করব দ্রুত সংস্কার করার। কিছুদিন আগে ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট কে বলা হয়েছে ওটাকে এস্টিমেট করে কাজটা করে দেওয়ার জন্য। এছাড়াও তিনি বলেন মন্দিরটি করার জন্য আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। মাস দুয়েকের মধ্যেই আমরা মন্দিরটি সংস্কার করব।
এক স্থানীয় বাসিন্দা চিরঞ্জিত গড়াই বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরেই মাচানতলার এই বাজার এলাকায় আসছি এবং দেখছি। মাঝেমধ্যে মা সারদার মন্দিরের পাশে যে টয়লেট রয়েছে আমরা সেখানে যাই এবং দেখতে পাই মন্দিরটি ভগ্নপ্রায় হয়ে পড়ে রয়েছে। তিনি বলেন ভগ্নপ্রায় এই মন্দিরে যেভাবে মানুষকে পূজো করতে হচ্ছে তাতে যে কোন মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। অবিলম্বে মন্দিরটি সংস্কারের দাবি জানাচ্ছেন তারা।