নিউজ ডেস্ক , এই বাংলায়ঃ পূর্ব নির্ধারিত ঘোষণা মতো মঙ্গলবার রাজ্যে প্রকাশিত হল পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের ২০১৯ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল। পরীক্ষা শেষের ৮৮ দিনের মাথায় ঘোষিত হল ফলাফল। চলতি বছরে মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসেছিলেন ১০ লক্ষ ৬৪ হাজার পরীক্ষার্থী। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রকাশিত মেধাতালিকা অনুযায়ী এবছর রাজ্যে মাধ্যমিকে ৬৯৪ নম্বর পেয়ে প্রথম হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের মহম্মদপুর দেশপ্রাণ বিদ্যাপীঠের পড়ুয়া সৌগত দাস, ৬৯১ নম্বর পেয়ে যুগ্মভাবে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে শ্রেয়সী পাল ও দেবস্মিতা সাহা এবং ৬৮৯ নম্বর পেয়ে যুগ্মভাবে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ব্রতীন মণ্ডল, ক্যামেলিয়া রায়। তবে রাজ্যে প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থানাধিকারীদের প্রাপ্ত নম্বর অবাক করা হলেও পিছিয়ে নেই জেলার অন্যান্য পড়ুয়ারাও যেমন বাঁকুড়ার মাধ্যামিক পরীক্ষার্থী সুদীপ্তা ধবল। রাজ্যে সমস্ত পড়ুয়াদের মধ্যে অষ্টম স্থান অধিকার করলেও মেয়েদের মধ্যে প্রথম হয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছে বাঁকুড়ার মিশন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের সুদীপ্তা। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৩। বড় হয়ে ইঞ্জিনিয়ার হতে চায় সুদীপ্তা। একই নম্বর পেয়ে বাঁকুড়া জেলারই জিলা স্কুলের ছাত্র সায়ন্তন দত্ত-ও ৬৮৩ নম্বর পেয়ে অষ্টম স্থান দখল করেছে। সার্কাস ময়দানের বাসিন্দা সায়ন্তনের বাবা শুভেন্দু দত্ত পেশায় প্রধান শিক্ষক, মা গৃহবধূ। আগামী দিনে উচ্চশিক্ষা নিয়ে বিজ্ঞানী হতে চায় সায়ন্তন। পাশাপাশি দারিদ্রতাকে জয় করেই মাধ্যমিকে ৬৮৩ নম্বর পেয়ে রাজ্যে অষ্টম স্থান অধিকার করলো দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর হাইস্কুলের ছাত্র সায়ন্তন বসাক। গঙ্গারামপুর পৌরসভার ১২ নং ওয়ার্ডের দত্তপাড়ার বাসিন্দা সায়ন্তন সাধারণ তাঁতি পরিবারে দারিদ্রতার সঙ্গে লড়াই করে মাধ্যমিকে সাড়া ফেলে দিয়েছে। মঙ্গলবার সকালে ফলাফল প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে উৎসবের আবহ দত্ত পাড়ায়। ছেলের অভূতপূর্ব সাফল্যে উচ্ছ্বাসিত সায়ন্তনের অভিভাবক থেকে শুরু করে প্রতিবেশীরা। টিভির পর্দায় সায়ন্তনের ছবি প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই উচ্ছ্বাস চেপে রাখতে পারেননি তারা। নিজের এহেন সাফল্যে স্বভাবতই খুশী সায়ন্তনও। অন্যদিকে ছাত্রদের থেকে সাফল্যের নিরিখে পিছিয়ে নেই মেয়েরাও। যেমন মাধ্যমিকে ৬৮১ নম্বর পেয়ে রাজ্যে প্রথম দশের মধ্যে জায়গা করে নিল কাঁকসা রামকৃষ্ণ মিশন স্কুলের ছাত্রী সায়ন্তিকা রায়। আগামী দিনে ডাক্তারি পড়ার স্বপ্ন নিয়েই সায়ন্তিকা জীবনের প্রথম ধাপ সাফল্যের সঙ্গেই পার করে ফেললো। সায়ন্তিকার এহেন সাফল্যে খুশী তার অভিভাবক, শিক্ষক-শিক্ষিকা, প্রতিবেশী সকলেই।