সংবাদদাতা, বালুরঘাটঃ- সালটা ছিল দুই হাজার এক দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট শহরের সৃজনী সংঘ শুরু করেছিল গণবিবাহ। তারপর থেকে বালুরঘাট শহরের উপর দিয়ে বয়ে চলা আত্রেয়ী নদীর মধ্যে দিয়ে বয়ে বয়ে গেছে অনেক জল। কিন্তু সৃজনী সংঘ কন্যাদায়গ্রস্ত দরিদ্র পিতা মাতাদের দুশ্চিন্তা দূর করতে প্রতিবছরই আয়োজন করেছে চলেছে গণবিবাহের আসর। মাঝে একটি বছর কিছু কারণবশত তারা এই গনবিবাহ আয়োজন করতে তারা পারেনি। কিন্তু তবুও পায়ে পায়ে তাদের এই গনবিবাহের অনুষ্ঠান উনিশ বছরে পদার্পণ করল। এই বছরও তার অনাথা হয়নি। এই বছর তারা দশ জোড়া দরিদ্র নবদম্পতির চার হাত এক করে দিলেন। ক্লাব কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে তাদের ইচ্ছে ছিল তারা এই বছর বারো জোড়া নব দম্পতির বিবাহ সম্পন্ন করবেন। কিন্তু বয়সের কারণে দুই জোড়া নবদম্পতিকে তাদের বাতিল করতে হয়েছে। ভারতীয় বিচারব্যবস্থার কে সম্মান জানিয়ে সেই নব দম্পতির বিয়ের বয়স না হওয়ার দরুন সৃজনী সংঘের সদস্যরা সেই দুই জোড়া নবদম্পতির বিবাহ দেননি। সৃজনী সংঘের সদস্যরা শুধু বিয়ে দিয়েই ক্ষান্ত থাকেনি তারা এই দশ জোড়া নব দম্পতির পরিবারের লোক সহ সাতশো জন নিমন্ত্রিতের রাত্রিকালীন আহারের ব্যবস্থা করেছিল। সেই সাথে সাথে এই নবদম্পতিদের আগামী দিনের জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী যেমন লেপ-তোষক, হাঁড়ি, কড়াই, থালা-বাসন সহ বিভিন্ন উপহার সামগ্রী ও তারা তুলে দিয়েছেন। এই গনবিবাহের মাধ্যমে দরিদ্র কন্যাদায়গ্রস্ত পিতাদের দুশ্চিন্তা করতে প্রতিবারের মত এই বছরও সৃজন সংঘের এই গণবিবাহের আয়োজন কে সাধুবাদ জানিয়েছে বালুরঘাটের আপামর শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ। এই বিষয়ে সৃজনী ক্লাবের সম্পাদক অরিন্দম চন্দ আমাদের জানান গত উনিশ বছর ধরে আমরা এই গণবিবাহের আসর বসিয়ে আসছি। মাঝে একটি বছর কিছু সমস্যা থাকায় আমরা গণবিবাহ আয়োজন করতে পারিনি। দুই হাজার এক সাল থেকে আমাদের এই গণবিবাহ আয়োজন চলছে। এই বছর আমরা বারো জোড়া ছেলে মেয়ের বিয়ে দিতে চাইছিলাম কিন্তু শেষ মুহূর্তে বয়সের কারণে দুজনকে আমাদের বাদ দিতে হয়েছে। তাই এই বছর দশ জোড়া দিয়ে আমরা দিলাম।