সংবাদদাতা, কলকাতাঃ- যুবতীর উদ্ধত যৌবন দেখে, চলন্ত বাসেই হস্তমৈথুন করার পর ধরা পড়ল যুবক। রবিবার সন্ধ্যায়। খাস কলকাতার বুকে। এই নিয়ে শহর জুড়ে চাঞ্চল্য।
বারাসাত-বারুইপুর রুটের একটি যাত্রী বাসে বান্ধবী কে সাথে নিয়ে উঠেছিলেন এক যুবক সৌম রায়। দরজার সামনের সিটে বসেন তার চব্বিশ বছরের বান্ধবী। গত সন্ধ্যায়, মেট্রোপলিটন স্টপেজ আসতেই তার যুবতী বান্ধবীর চিৎকারে সচকিত হন বাস যাত্রীরা। দেখা যায় যুবতীর সোয়েটারের হাতায় আঠালো দেহরস ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। বিষয়টি বুঝতে কারও অসুবিধা হয়নি। সাথে সাথে হৈ চৈ পড়ে যায়। সে সময়ই তড়িঘড়ি বাস থেকে নেমে পালাতে যায় গৌরব দে নামের অভিযুক্ত যুবক। বাসের অন্যান্য যাত্রীরা তৎক্ষনাৎ তাকে ধরে ফেলেন। এরপরই বেলেঘাটা ট্রাফিক গার্ড অফিসে সার্জেন্ট অনূপ মাঝির হাতে তাকে তুলে দেওয়া হয়। তবে, পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার পরও কার্যতঃ ভ্রুক্ষেপহীন ছিলেন গৌরব।
গোটা ঘটনায় বিদ্ধস্ত যুবতী বলেন, “ও আমার গা ঘেষেই দাড়াচ্ছিল বার বার। কিছুক্ষন পর একবার বুকে হাত রাখারও চেষ্টা করেছিল। সতর্ক করতেই খানিকটা সরে দাঁড়ায়”। এর কিছুক্ষনের মধ্যেই হঠাৎই যুবতীর সোয়েটারের হাতায় ছিটকে আসে গরম আঠালো দেহরস। যুবতী বলেন, “ছেলেটা হস্তমৈথুন করছিল”।
২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে, অসিত রায় নামে বৈদ্যবাটীর এক মাঝবয়সীও চলন্ত বাসে হস্তমৈথুন করার পর, দুই তরুনীর অভিযোগের ভিত্তিতে ধরা পড়ে। প্রিয়াঙ্কা দাস নামে এক তরুনী অসিতের বিরুদ্ধে কোর্টে সাক্ষ্যও দিয়েছিলেন।
পুলিশ জানায়, অসিত পেশায় হকার আর গৌরব পেশায় অটো ড্রাইভার। বাড়ী বেলেঘাটা জোড়া মন্দির এলাকায়।