eaibanglai
Homeএই বাংলায়নবজোওয়ারের দলীয় সভাই হয়ে গেল মিনি জনসভা, দুর্গাপুরে মন জিতলেন অভিষেক

নবজোওয়ারের দলীয় সভাই হয়ে গেল মিনি জনসভা, দুর্গাপুরে মন জিতলেন অভিষেক

মনোজ সিংহ, দুর্গাপুরঃ- মন জিতে নিলেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। কোনো জনসভার আয়োজন ছিলনা। সোমবার রাতে শহর দুর্গাপুরের রাজীব গান্ধী মেলা ময়দানে দলের নব জোওয়ার কর্মসূচির অংশ হিসেবে তৃনমূল কংগ্রেসের দলীয় কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে ছিল দলের ইতিমধ্যেই তারকা নেতা অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের বুথ সম্মেলন আর পঞ্চায়েতের প্রার্থী নির্বাচনের জন্য দলের আভ্যন্তরীণ ভোট। পশ্চিম বর্ধমান জেলার মোট ৬২ টি পঞ্চায়েত থেকে আসা নির্বাচকেরা এদিন সন্ধ্যা থেকে শুরু হওয়া ভোটাভুটিতে অংশ নেন।

রাত সাড়ে ৯ টায় দলীয় কর্মী ও স্থানীয় নেতা, নেত্রীদের সম্বোধিত করতে মঞ্চে ওঠেন অভিষেক। দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বলার পাশাপাশি তিনি কড়া ভাষায় জালিয়াতি, দ্বিচারিতা, রাজনৈতিক প্রতারনার বিষয়ে জেলা তথা পঞ্চায়েত স্তরের নেতাদের সতর্ক করে দিয়ে বলেন, “যে বা যারা আপনাদের কাছে টিকিট পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে, আমরা জানতে পারলে তার টিকিটটা আগে কেটে দেব। কেড়ে নেব পদ – তা সে যেই হোক। আমাদের চোখ, কান সবসময় খোলা আছে।”

এদিনের গোটা অনুষ্ঠানে অভিষেক বার বার সচেতন করেন, “আপনারাই আপনাদের পঞ্চায়েত আসনের প্রার্থী বেছে নিচ্ছেন। এরপর তাতে শিলমোহর দেবে দল। এরপরও তার বিরোধিতা করে কেও নির্দল প্রার্থী হিসেবে আম, জাম, কাঁঠাল চিহ্নে মনোনয়ন জমা করে হয়তোবা জিতে যাবেন, কিন্তু, জেনে রাখবেন জোড়া ফুলের দরজা তার জন্য চিরকালের মতো বন্ধ হয়ে গেল।”

দুর্গাপুরে নব জোয়ার কর্মসূচিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখতে রাস্তার দুপাশে এদিন বিকালে জনতার ঢল ছিল চোখে পড়ার মতো। শাঁখ-ঢাক বাজিয়ে স্বাগত জানানো হয় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে ৷ দুর্গাপুর শহরে ঢোকার আগে চল্লিশ মিনিট সময় কাটান পানাগড়ের একটি গুরুদোয়ারায়। সবুজ পাগড়ি মাথায় তিনি বেরিয়ে এলেন যুবরাজের মতোই।

এই দিনও তার অন্যান্য সভার মতোই অভিষেক বারে বারে কেন্দ্রীয় মোদী সরকারের বঞ্চনার অভিযোগ তুলে ১০০ দিনের কাজ, গরীবের ঘরবাড়ি, বার্ধক্য ভাতা নিয়ে কড়া ভাষায় তোপ দাগেন।

এদিনের শিবিরে সারাক্ষণই উপস্থিত ছিলেন জেলা থেকে নির্বাচিত দুই মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার এবং মলয় ঘটক। পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃনমূল কংগ্রেসের সদ্য ঘোষিত সভাধিপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর নেতৃত্বে শিবিরটি পরিচালিত হয়। তবে, সম্ভবতঃ অভিষেকের নজর এড়াতেই এদিনের শিবিরের ধারেপাশে অন্য দল থেকে সদ্য উড়ে আসা কাউকেই প্রায় দেখা যায় নি।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments