সংবাদদাতা,বাঁকুড়া:- স্কুল কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতে স্ক্রুটিনির আবেদনই করতে পারলো না ছাত্রীরা। এভাবে ছাত্রীদের ভবিষ্যত নিয়ে ছিনিমিনি খেলার জন্য ক্ষোভে ফুঁসছেন অভিভাবকরা। হুঁশিয়ারি দিয়েছেন লাগাতার আন্দোলনের। ঘটনায় রীতিমতো অস্বস্তিতে স্কুল কর্তৃপক্ষ। এমনই নজিরবিহীন গাফিলতির ঘটনা ঘটেছে বাঁকুড়া মিশন গার্লস হাইস্কুলে।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরে বাঁকুড়া মিশন গার্লস হাইস্কুলের ২৫৪ জন মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৯৩ জনের ফলাফল আশানুরূপ না হওয়ায় তারা স্ক্রুটিনির সিদ্ধান্ত নেয়। স্ক্রুটিনির আবেদনের জন্য স্কুলের তরফে বেঁধে দেওয়া নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ওই ৯৩ জন ছাত্রী স্কুলে আবেদনও জমা দেয়। ওই আবেদনগুলি স্কুলের তরফে ১৭ জুনের মধ্যে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পোর্টালে আপলোড করার কথা ছিল। কিন্তু গতকাল ওই পরীক্ষার্থীর অভিভাবকরা খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারেন স্ক্রুটিনির আবেদন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের নিজস্ব পোর্টালে আপলোডই করেনি স্কুল কর্তৃপক্ষ। আর এতেই একসাথে এতগুলি ছাত্রীর ভবিষ্যত নিয়ে ছিনিমিনি খেলার জন্য স্কুলকে কাঠগোড়ায় তুলে ক্ষোভে ফুঁসতে থাকেন অভিভাবকরা। শুক্রবার সকাল থেকে সেই ক্ষোভ বিক্ষোভের আকারে আছড়ে পড়ে স্কুলে।
বিষয়টি নিয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা অভিজিতা চৌধুরীর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, “গাফিলতি ঠিক হয়নি। আসলে আরও কেউ যদি স্ক্রুটিনির জন্য আবেদন করে সেই জন্য লাস্ট ডেট পর্যন্ত অপেক্ষা করা হয়েছিল। এরই মধ্যে ইন্টারনেটের সমস্যা দেখা দেয় ও পোর্টালে আবেদন আপলোড করার সময়সীমা শেষ হয়ে যায়। তাই আর আবেদনগুলি আপলোড করা যায়নি। এরপর ডেপুটি সেক্রেটারির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানিয়ে দেন আর পোর্টাল খোলা হবে না।” তবে এই ঘটনাকে গাফিলতি না বলে বরং অনিচ্ছাকৃত ভুল বলে দাবি করেন প্রধান শিক্ষিকা। তবে অভিভাবকদের বিক্ষোভের মুখে পড়ে উচ্চ স্তরের আধিকারিকদের সাথে যোগাযোগ করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি । যদিও প্রধান শিক্ষিকার সেই শুকনো আশ্বাসে আদৌ সন্তুষ্ট নন অভিভাবকরা। প্রয়োজনে স্কুলের সামনে লাগাতার অবস্থান আন্দোলন শুরু করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
