সঞ্জীব মল্লিক, বাঁকুড়া :- রাজ্য সরকার সহায়তা করলে বাঁকুড়া সহ সারা রাজ্যে তৈরি হতে পারে একাধিক খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ মেগা ফুড পার্ক, ইন্ডিয়ান চেম্বার অফ কমার্স এর কর্মশালায় এসে বললেন কেন্দ্রীয় রাষ্ট্র মন্ত্রী রামেশ্বর তেলি। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে অসমে এনআরসি চালু হয়েছে। ঐ তালিকা থেকে যে ১৯ লক্ষ মানুষ বাদ পড়েছেন তার অধিকাংশই হিন্দু। এই কারণে আমরা অসমের মুখ্যমন্ত্রী ও দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সাথে আলোচনা চালাচ্ছি। যাতে ঐ সব মানুষের নাম ঢোকানো যায়। শনিবার বাঁকুড়া রবীন্দ্র ভবনে প্রধানমন্ত্রী কিষাণ যোজনা বিষয়ক এক কর্মশালায় যোগ দিতে এসে একথা বলেন কেন্দ্রীয় খাদ্য ও প্রক্রিয়াকরণ দপ্তরের মন্ত্রী রামেশ্বর তেলি। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এনআরসির বিরোধীতা করছেন এবিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি কটাক্ষ করে বলেন, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীও তো এনআরসির বিরোধীতা করছেন। বিরোধীতা করার অধিকার সবার আছে। তবে পশ্চিমবঙ্গ সহ সারা দেশে এনআরসি চালু হোক বলে তিনি স্পষ্টতই জানান। অসমে তালিকা প্রকাশের আগে বাদ যাওয়া এদেশীয় নাম যোগ করা না হলে তারা আদালতে যাবেন বলেও এদিন তিনি জানান। প্রধানমন্ত্রী কিষাণ যোজনা বিষয়ক কর্মশালায় যোগ দিতে মন্ত্রী রামেশ্বর তেলি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে আরো বলেন, বাঁকুড়া জেলায় কেউ ‘ফুড পার্ক’ তৈরী করতে চায় তবে তাঁর দপ্তর সর্বোতভাবে সাহায্য করবে। মেগা ফুড পার্কের ক্ষেত্রে ৫০ কোটি ও মিনি ফুড পার্ক তৈরীর ক্ষেত্রে ২৫ কোটি টাকা আর্থিক সাহায্য করা হবে ঘোষণা করে তিনি বলেন, এবিষয়ে ব্যাঙ্কের সাহায্য প্রয়োজন। সেকারণেই নাবার্ড, স্টেট ব্যাঙ্ক সহ অন্যান্য ব্যাঙ্কের প্রতিনিধিরাও এই কর্মশালায় উপস্থিত রয়েছেন। তাঁর দপ্তরের মূল লক্ষ্য যে অঞ্চলে যেধরণের শাক, সব্জী, ফল, মূল উৎপাদিত হয় সেই ধরণের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প গড়ে উঠুক। এই কাজে উদ্যোগপতিদের তার দপ্তর সর্বোতভাবে সাহায্য করবে। তবে এই কাজে রাজ্য সরকারের অনুমোদন প্রয়োজন। বাঁকুড়া সহ সারা রাজ্যে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পের প্রভূত সম্ভাবনা রয়েছে বলেও তিনি মনে করেন।জৈব পদ্ধতিতে চাষাবাদের উপর তিনি বলেন, আমরা কৃষকদের কাছে জৈব পদ্ধতিতে চাষের উপর জোর দিচ্ছি। আমরা তো সকলেই চাই জৈব পদ্ধতিতে চাষ করা শাক সব্জী খেয়ে অনেক দিন বাঁচি। এদিন প্রধানমন্ত্রী কিষাণ যোজনা বিষয়ক কর্মশালায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামেশ্বর তেলি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলার দুই বিজেপি সাংসদ ডাঃ সুভাষ সরকার, সৌমিত্র খাঁ প্রমুখ।