eaibanglai
Homeএই বাংলায়বৃদ্ধকে শুঁড়ে তুলে, আছড়ে পিষে মারল দাঁতাল, বিষ্ণুপুরে

বৃদ্ধকে শুঁড়ে তুলে, আছড়ে পিষে মারল দাঁতাল, বিষ্ণুপুরে

সংবাদদাতা, বিষ্ণুপুরঃ- দলমা থেকে আসা হাতির পালের দলছুট একটি দাঁতাল পিষে মারল বৃদ্ধকে। শনিবার কুয়াশাচ্ছন্ন ভোরে। এই নিয়ে এদিন বিষ্ণুপুরে চাঞ্চল্য ছড়ায়।
বিষ্ণুপুরের বাঁকাদহ ফরেস্ট রেঞ্জের আওতাধীন চিতরাং গ্রামের বাসিন্দা অশোক সর্দার (৬৬) এদিন ভোরে জঙ্গঁলে গিয়েছিলেন। সে সময়ই তাকে আক্রমন করে দলছুট দাঁতালটি। ঘন কুয়াশার কারনে অশোক ঠাহর করতেই পারেন নি যে আস্ত একটি হাতি তার আশেপাশেই ঘোরাঘুরি করছে। হাতিটি তাকে শুঁড়ে পেঁচিয়ে শূন্যে তুলে সজোরে আছড়ে ফেলে মাটিতে। তারপর পায়ে পিষে মারে ওই বৃদ্ধকে, বলে জানিয়েছেন চন্দন ঘোষ নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী। তিনিও ওই চিতরাং গ্রামেরই বাসিন্দা। যাচ্ছিলেন জঙ্গঁলেই। তার আর্ত চিৎকারে অনান্য গ্রাম্বাসীরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসায় দ্রুত এলাকা ছেড়ে পালায় দাঁতালটি। এরপরই বৃদ্ধকে উদ্ধার করে বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কিচ্ছুক্ষন পরই মারা যান অশোক।
বৃহস্পতিবার রাত্রে পাশের জেলা পশ্চিম মেদিনীপুরের রামগঢ় জঙ্গঁল থেকে ৫০ টি হাতির একটি পাল কংসাবতী নদী পেরিয়ে বাকুড়া জেলার রাইপুর, সারেঙ্গাঁ ফরেস্ট রেঞ্জ এলাকায় দাপাদাপি করে। তছনছ করে। প্রায় তিরিশ বিঘার মতো আলু চাষ। শুক্রবার ভোরে হাতির পালটি আবার স্বেচ্ছায় ফিরে যায় রামগঢ়েই। কিন্তু, ওই হাতির পালের একটি দাঁতাল মেদিনীপুরের রুপনারায়নপুর জঙ্গঁল ঘুরে বাঁকাদহ এলাকায় ঢোকে। বাঁকাদহের রেঞ্জ অফিসার, অনন্ত কুমার দাস জানান, “দাঁতালটি তাড়া খেয়ে এখানকারই দুন্দুরের জঙ্গঁলে গা ঢাকা দিয়েছে। তার গতিবিধির ওপর নজর রাখা হচ্ছে”। উল্লেখ্য, গত চার বছরে হাতির হানায় শুধুমাত্র চিতরাং গ্রামেরই তিন জন বাসিন্দার মৃত্যু হয়েছে।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments