বিশেষ প্রতিনিধি, কলকাতাঃ- বুলবুল সাইক্লোনের দাপটে ইতিমধ্যেই বিদ্ধস্ত হয়েছে রাজ্যের বিস্তীর্ণ কৃষি ক্ষেত্র। হাজার হাজার হেক্টর চাষ জমি থেকে এখনো নামেনি জল। সবচেয়ে বেশি মার খেয়েছে ধান চাষ। আর তারই মাঝে প্রায় ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গেছে রাজ্যের পেঁয়াজ চাষ। এখনি বাজারে পেঁয়াজ অগ্নিমুল্য। কলকাতায় ৯০ টাকা কেজি আর বহু জেলায় ৭০ টাকা কেজি।
পেঁয়াজ কে ঘিরে সঙ্কট মোকাবিলায় কেন্দ্র সরকার বিদেশ থেকে ১ লক্ষ টন পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে গত শনিবার। কেন্দ্র সরকারের পরিচালনাধীন দেশের বৃহত্তম আন্তর্জাতিক বানিজ্য সংস্থা এম.এম.টি.সি (মেটালস এন্ড মিনারেলস ট্রেডিং কর্পোরেশন) কে সরকার পেঁয়াজ আমদানির বরাত দিয়েছে। বলা হয়েছে, এম.এম.টি.সি. র আমদানি করা পেঁয়াজ নফেড ( ন্যাশানাল এগ্রি কালচারাল কোঅমারেটিভ মার্কেটিং ফেডারেশন) র মাধ্যমে রাজুগুলিতে দেশীয় বাজারে নির্ধারিত দামে বন্টন করবে। নফেড হল দেশের বৃহত্তম কৃষি পণ্য বিপণনের সমবায় সংস্থা। সরকার এম.এম.টি.সি. কে নির্দেশ দিয়েছে ১৫ নভেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশীয় বাজারে আমদানি করা পেঁয়াজ নফেডের মাধ্যমে সরবরাহ করার জন্য। গোড়ায় সরকার সংযুক্ত আরব আমীরশাহী থেকে পেঁয়াজ আমদানির কথা বলেছিল। এম.এম.টি.সি. র একটি সূত্র জানাচ্ছে, খুব শীঘ্রই ২০০০ টন পেঁয়াজ দেশীয় বন্দরগুলিতে পৌঁছাবে। এর প্রথম দর পত্রের মেয়াদ ১৪ নভেম্বর অব্দি খোলা রাখা হয়েছে। যে সংস্থা নূন্যতম ৫০০ টন পেঁয়াজ ভারতকে সরবরাহ করতে পারবে, তাকেই বাছা হবে। এম.এম.টি.সি.র ওই সূত্র বলছে, বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে ইরান, তুরস্ক, মিশর এবং আফগানিস্তান থেকে পেঁয়াজ আমদানি করার প্রক্রিয়া ও শুরু করা হয়েছে।
দেশের বাজারে খরিফ মরসুমে প্রায় ৪০ শতাংশ পেঁয়াজ কম উৎপাদন হওয়ায় এবার সরকারের মাথায় হাত। সমস্যা দিন দিন বাড়ায় পেঁয়াজের ঝাঁঝ সরাসরি পৌঁছেছে গৃহস্থের হেঁসেলে।