সংবাদদাতা, বাঁকুড়া:- সংস্কারের অভাবে বেহাল সোনামুখীর “বেলডাঙ্গা প্রাকৃতিক উদ্যান” সংস্কারের আবেদন পর্যটকদের।
নামেই প্রাকৃতিক উদ্যান কিন্তু বর্তমানে তা পরিণত হয়েছে ঝড় জঙ্গল এবং গোচারণ কেন্দ্রে। সোনামুখীর শালবন ঘেরা আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রাম বেলডাঙা, এই গ্রামে সোনামুখী বনদপ্তর এর উদ্যোগে “বেলডাঙ্গা প্রাকৃতিক উদ্যান” তৈরি করা হয়েছিল। একটা সময় সৌন্দর্য বেড়েছিল বেলডাঙ্গা গ্রামের। অপরূপ সৌন্দর্যে সেজে উঠেছিল সোনামুখী বনাঞ্চল। যুবকদের কর্মসংস্থানের কেন্দ্র হয়ে উঠেছিল এই প্রাকৃতিক উদ্যান। দূরদূরান্ত থেকে শীতের মৌসুমে পর্যটকরা প্রাকৃতিক উদ্যানে বেড়াতে আসতেন। এখানকার প্রধান আকর্ষণ ছিল বোটিং।
কিন্তু কালের ক্রমে দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না থাকার ফলে আজ তা ইতিহাসে পরিণত হয়েছে। পুকুরের জল শুকিয়ে যেতে বসেছে। পুকুরের ধারে তুলে রাখা হয়েছে বোট গুলিকে । নষ্ট হয়েছে ছোট ছেলেমেয়েদের রাইডিং গুলি। সংস্কারের অভাবে বেহাল হয়ে পড়েছে দোলনা এবং অন্যান্য পার্কের সৌন্দর্য। শীতের মরসুমে এখন আর সেভাবে পর্যটকরা আসেন না, ফলে বন্ধ হতে বসেছে সোনামুখীর ঐতিহ্য সম্পূর্ণ এই প্রাকৃতিক উদ্যান।
পার্কে আসা এক পর্যটক দীপাঞ্জন ঘোষাল বলেন , আগে সব ঠিকঠাকই চলত, এখানে বোটিং হতো, কিন্তু এখন আর হয় না। তাই পুনরায় সরকারের কাছে আবেদন জানাই প্রাকৃতিক উদ্যানটিকে নতুনভাবে সাজিয়ে তুলতে।
হরলাল মুর্মু নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, পার্কটিকে যাতে ভালোভাবে সংস্কার করা হয় আমরা সেটাই চাই। এরফলে উপকৃত হবেন এখানে আগত পর্যটকরা। পার্কটি সংস্কার করা হলে গ্রামের মানুষরা কর্মসংস্থান পাবে।
এ বিষয়ে সোনামুখী রেঞ্জ অফিসার দয়াল চক্রবর্তী বলেন, ফরেস্ট ডিপার্টমেন্ট এর পক্ষ থেকে যখন তৈরি করা হয় তখন ভালো ছিল। কিন্তু মানুষের সচেতনতার অভাবে পার্কটির খারাপ অবস্থা। আমরা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। সোনামুখী বিডিও এন.আর.ই.জি.এস এর থেকে নতুনভাবে পার্কটিকে যাতে সংস্কার করা যায় তার ব্যবস্থা করবেন বলে জানান তিনি। আগামী ছয় মাসের মধ্যে বেলডাঙ্গা পার্ক নতুনভাবে সাজিয়ে তোলা হবে বলে তিনি জানান। তবে তিনি বলেন মানুষ যতদিন সচেতন না হবে সরকার পক্ষ থেকে যতই করা হোক না কেন তা কোনদিনও ভালো থাকবে না।
এখন ভ্রমণপিয়াসু মানুষ সকলেই তাকিয়ে রয়েছেন কবে পার্কটিকে নতুনভাবে সংস্কার করা হয়।