সংবাদদাতা, মুর্শিদাবাদ:-
গোপনে অভিযোগ আসছিল বেশ কিছুদিন ধরেই।সেই মতো টিম বানিয়ে মুর্শিদাবাদ থানার পুলিশ ও ভূতাত্ত্বিক দের একটি বিশেষ দল যৌথভাবে দিনভর হানা দেয় লালগোলা সহ পার্শ্ববর্তী মুর্শিদাবাদ থানার ওমরাহগঞ্জ, রতনপুর সহ একাধিক এলাকায়। সেই মতো চোখ কপালে ওঠে অভিযানকারী দলের।কোথাও নামী কোম্পানির লেবেল লাগিয়ে ভূগর্ভস্থ জল বাজারে বিক্রির রমরমা,তো কোথাও জলের মধ্যে কোন রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই বিভিন্ন রাসায়নিক,ইউরিয়া মারাত্মকভাবে মিশিয়ে মিনারেল অবৈধ জল তৈরীর কারখানা, কোথাও আবার নিত্য নতুন মেশিন এর মাধ্যমে প্রস্তুতকারক সংস্থা তৈরি করে ভূগর্ভস্থ জল তৈরীর গোপন আস্তানার খোঁজ। এরকম নানান অভিজ্ঞতা শেষে এলাকার মিরাজ সেখ নামের এক অবৈধ সরকার বাড়ি বাড়িতে হানা দেয় এই অভিযানকারী দলটি। বরাতজোরে অভিযুক্ত মিরাজ এলাকা ছেড়ে পালায়।অন্যদিকে ওমরা হজ এলাকায় পুলিশের ও ভূতাত্বিকদের আরেকটি দল প্রবীর রায় নামের এলাকার এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা দেয়। সেখানে বাজেয়াপ্ত হয় মাটির তল থেকে কোনরকম নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই বেআইনিভাবে মিনারেল জল তৈরি করার নানান যন্ত্রপাতি। এখানেই শেষ নয়, রতনপুর এলাকায় নারায়ণ মন্ডল নামের এক প্রভাবশালী অবৈধ জলের ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।ওই ব্যবসায়ী দীর্ঘদিন ধরে কেবল বেআইনি জল প্রস্তুত করেই থেমে থাকেনি।বাজার থেকে নানান বহুজাতিক মিনারেল প্রস্তুতকারক সংস্থা লেভেল কিনে জালিয়াতি করে সেই লেভেল ব্যবহার করে বাড়িতে তৈরি মিনারেল জলের বোতলের সেটা দিয়ে দেদার বিক্রি করতে থাকে সে। সেইসঙ্গে জল মিশিয়ে দেয় ইউরিয়াও। সেই নমুনাও বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। এই ব্যাপারে ভূতাত্ত্বিক দের নিয়ে গঠিত অভিযানকারী দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়,”এই ধরনের অভিযান আগামীদিনের চলবে আমরা অবাক হলাম কেবল অবৈধ মিনারেল জলই নয়, সেইসঙ্গে মারাত্মক ক্ষতিকারক নানান রাসায়নিক নিজের সমস্ত কারখানা থেকে”। আর কোথায় হানা হবে সে বিষয়ে মুখ খুলতে চাই নি ওই দলটি।