যে সব পরিষেবা দেওয়া হয়নি, তার জন্য টাকা চাইতে পারবে না স্কুলগুলি, নির্দেশ কলকাতা হাই কোর্টের

540

এইবাংলায় ওয়েব ডেস্কঃ- করোনা স্বাস্থ্যবিধির কারণে রাজ্যে স্কুল বন্ধ গত প্রায় দেড় বছর ধরে। চলছে অনলাইন ক্লাস। সেই জন্য ফি মকুব করার দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিভাবকরা। সেই মামলায় স্কুলগুলিকে ফি মুকুবের কথা বলেছিল আদালত। এবার লকডাউন চলাকালীন বেসরকারি স্কুলগুলি যে সব পরিষেবা দেয়নি, তার জন্য তারা ছাত্র ছাত্রীদের কাছ থেকে কোনও টাকা নিতে পারবে না বলে শুক্রবার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। পাশাপাশি বেসরকারি স্কুলগুলিতে ফি জমা দেওয়ার নির্দিষ্ট সময়সীমাও ধার্য করে দিয়েছে হাই কোর্ট। দু’সপ্তাহের মধ্যে বকেয়া টাকা মিটিয়ে দিতে হবে অভিভাবককদের। আদালত জানিয়েছে, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের বিদ্যালয়ের ফি যাঁরা জমা করেননি, অবিলম্বে তাঁদের ৫০ শতাংশ ফি জমা দিতে হবে। এর পরের দু’সপ্তাহের মধ্যে ২৫ শতাংশ ফি জমা করতে হবে। আদালত বিদ্যালয়গুলির কত ফি বকেয়া রয়েছে, তাও বিস্তারিত জানতে চেয়েছে। দু সপ্তাহের মধ্যে হিসেবনিকেশ বুঝে নিয়ে স্কুলগুলি তাদের বকেয়ার পরিমাণ জানাতে পারবে। অভিভাবকরাও চাইলে তাদের ছেলেমেয়েদের স্কুল সম্পর্কে হলফনামা দিয়ে বক্তব্য জানাতে পারবে হাই কোর্টে।

প্রসঙ্গত বিভিন্ন বেসরকারি স্কুলের তরফে অভিযোগ জানানো হয়েছিল যে মোটা বেতনের অধিকারী বা স্থায়ী সরকারি চাকুরেরাও অতিমারি পরিস্থিতির সুবিধা নিয়ে স্কুলের ফি দিতে চাইছে না। সেই সম্পর্কে বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ যাদের সামর্থ আছে তাদের বকেয়া ফি মিটিয়ে দেওয়া উচিত।

অন্যদিকে অভিভাবকদের একাংশের অভিযোগ অতিমারি আবহে স্কুলগুলি যে পরিষেবা দেয়নি, তার জন্যও টাকা চাইছে। এই পরিস্থিতিতে আদালতের নির্দেশ কোন খাতে কত টাকা নেওয়া হচ্ছে,তার বিস্তারিত বিবরণ দিয়ে অভিভাবকদের কাছে পাঠাতে হবে এবং যে সব পরিষেবা দেওয়া হয়নি, তার জন্য টাকা চাওা যাবে না। মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ১ অক্টোবর।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here