eaibanglai
Homeএই বাংলায়বর্তমান সমাজকে পথ দেখাচ্ছে "সেবা"

বর্তমান সমাজকে পথ দেখাচ্ছে “সেবা”

নিউজ ডেস্ক, এই বাংলায়ঃ এগোচ্ছে সময়, এগোচ্ছি আমরা, এগোচ্ছে আমাদের ভারতবর্ষ। এই ১৩০ কোটির দেশের ভারতবর্ষে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এগোচ্ছি সকলেই। কিন্তু ওরাই একমাত্র ব্রাত্য। এখানে ওরা হল দেশের কয়েক কোটি অসহায়, গরীব, সম্বলহীনেরা। যাদের দুবেলা দুমুঠো খাবারও জোটে না, শীতের রাতে জোটে না একটা শীতবস্ত্র বা কম্বল। অথচ এই ভারতবর্ষেই প্রত্যেকদিন যত পরিমাণ খাবার নষ্ট হয়, তা দিয়ে এই অসহায় মানুষগুলোর সকলের পেটে খাবার জুটতে পারে। কিন্তু বাস্তবে তা হয়না, কারণ আধুনিক এই যুগে আমরা বড়ই স্বার্থপর। কেউ ভাবি না কারোর কথা। ব্যতিক্রম বোধহয় শুধু “সেবা”। পুরুলিয়ার ঝালদা ব্লকের এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হল “সেবা”। যাদের নামের মধ্যেই রয়েছে সমস্ত ব্যাখ্যা। ১৩০ কোটি মানুষ যখন অসহায় মানুষগুলোর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল, তখন সেই অসহায় মানুষগুলোর পাশে দাঁড়িয়েছিল সেবা। ঝালদা শহরের ৬২ জন অসহায় মানুষের কাছে আজ ওরাই ভগবান, ঈশ্বর, আল্লা, যীশু। কারণ গত এক বছর ধরে ঝালদার টেম্পো গলিতে সেবা নামক এই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার অফিসের সামনেই রোজ একবেলা করে পেট ভরে খাবার খান ঝালদা শহরের ৬২ জন গরীব, না খেতে পাওয়া মানুষগুলো। দুপুর ১২ থেকে ১ টা নাগাদ পেট ভরে ডাল, ভাত, তরকারি এবং বিশেষ দিনে পাতে পাওয়া যায় মাছ, পায়েস ও রকমারি। যা এই অসহায় মানুষগুলোর কাছে অমৃতসম। সেই ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাস থেকে শুরু হয়েছে পথ চলা, আজ তা পরিণত হয়েছে নিত্য রুটিনে। প্রত্যেক দিন বেলা ১২টা বাজলেই শুরু হয় খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন। কোথাও কোনও অসহায় মানুষ খেতে পাচ্ছেন না শুনলেই সঙ্গে সঙ্গে তাঁর খোঁজে বেরিয়ে পড়েন সংস্থার কর্মকর্তারা। শুধু খাওয়া-দাওয়া কেন অসহায় মানুষগুলোকে খাওয়ানোর পাশাপাশি তাদের জামা-কাপড়, চটি, কম্বল, চাদর থেকে শুরু করে প্রত্যেক মাসে স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থাও করেছে এই “সেবা”। এখানেই থেমে থাকে নি তারা। খুব শীঘ্রই এই সমাজসেবী সংস্থার হাত ধরেই পুরুলিয়া জেলার মধ্যে প্রথম অক্সিজেন ব্যাঙ্ক খোলা হবে বলে জানা গেছে। প্রাথমিক ধাপে ২০টি অক্সিজেন সিলিন্ডারও চলে এসেছে সেবার দফতরে। তাদের এই মহান মানবিকতার খবর লোকমুখে ছড়িয়ে পড়তেই ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন মহলে। ইতিমধ্যেই মিলেছে সরকারি সহযোগিতাও। প্রত্যেক মাসে খাওয়া-দাওয়ার প্রয়োজনীয় সামগ্রী রিলিফ ফান্ডের মাধ্যমে তাদের হাতে পৌছাচ্ছে বলে জানিয়েছেন সেবার কর্মকর্তারা। স্বভাবতই, সংস্থার এই মানবিকতায় যেমন ধন্য জেলার অসহায় মানুষগুলো তেমনি গোটা দেশের কাছে দৃষ্টান্ত।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments