eaibanglai
Homeএই বাংলায়সংস্কারের এক বছরের মধ্যেই বাঁধে ফাটল, আতঙ্কে বসবাস

সংস্কারের এক বছরের মধ্যেই বাঁধে ফাটল, আতঙ্কে বসবাস

জয়প্রকাশ কুইরি ,পুরুলিয়া : তুলিন লায়েক বাঁধ পুনরায় ভাঙ্গার আশঙ্কায় এলাকার মানুষ। দিন কয়েকের সামান্য বৃষ্টিতে বাঁধের পাড়ে নেমেছে ধস। এমনকি পাড়ে লাগানো পাথর পর্যন্ত খুলে পরছে। স্নান করার ঘাট গুলিও গেছে ভেঙ্গে। অবস্থা এতটাই সঙ্গীন যেকোনো সময় ভাঙতে পারে বাধের পাড়। এমনই পরিস্থিতিতে ঘুম ছুটেছে এলাকার মানুষের। ১৯ একর জমির উপর অবস্থিত লায়েক বাঁধ। বাঁধটির উপর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে কয়েক হাজারের বেশি মানুষ নির্ভরশীল। কড়াডি ,বড় ঘুটুয়া,লায়েক পাড়া,মাচ্চুয়ার পাড়া, বাংলা টাড় ,ঢেলা কুলি,মাহাতো কুলি সহ আশেপাশের বহু গ্রামের মানুষ বাঁধের জল ব্যবহার করে দু ফসলি চাষ করেন। এছাড়াও প্রতিদিন ৫ শতাধিক মানুষ স্নান করেন এই বাঁধে। মৎস্য চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করেন এলাকার বহু মানুষ। ২০১৫ সালের ২২শে জুলাই প্রবল বর্ষণের কারণে ভেঙ্গে যায় বাঁধটি। সমস্যায় পড়েন মানুষ। বহু প্রচেষ্টার পর জেলা পরিষদের উদ্যোগে বাঁধ নির্মাণে মঞ্জুর হয় ১ কোটি ৩০ লক্ষ ৯২ হাজার ৯৯৩ টাকা। গত বছর পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুজয় ব্যানার্জি ফিতা কেটে বাঁধ নির্মাণের সূচনা করে যান। এবছর এমনিতেই কম বৃষ্টি হয়েছে’। তারই মধ্যে বাঁধের পাড়ে নেমেছে ধস। ভেঙ্গে গেছে ঘাট গুলি। পাড়ের পাথর উঠে গেছে। এলাকার বাসিন্দা গণেশ মাহাতো জানান বাঁধ নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ার সময় ইঞ্জিনিয়ার এসে বলেছিলেন গার্ড ওয়াল নির্মাণ করা হবে। বাস্তবে তা করা হয়নি। পাড়ের উপর চালানো হয়নি রোলার। কড়াডি গ্রামের ঘনেশ্যাম মাহাতোর অভিযোগ দায়সারা কাজ করে টাকা নিয়ে চলে গেছে ঠিকাদার। বরাদ্দ টাকার কাঠ মানি পকেটে ঢুকে গেছে আধিকারিকদের। সামান্য বৃষ্টিতে বাঁধের এই হাল। বৃষ্টি বেশি হলে যে কোন সময় ভেঙ্গে পড়বে বাঁধ।বিজেপি নেতা অমিত দে বলেন বাঁধ নির্মাণে রয়েছে কাট মানির গন্ধ। বাঘমুন্ডির বিধায়ক নেপাল মহাত জানান কিভাবে ইঞ্জিনিয়াররা বিল পাস করেছে তা খতিয়ে দেখতে হবে ,কাজ না দেখে চোখ বুজে সই করে দেওয়া হয়েছে কাট মানির বিনিময়ে। এদের শাস্তি হওয়া দরকার। বিষয়টি প্রশাসন কে জানিয়েছি । নামব আন্দোলনেও।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments