এইবাংলায় ওয়েব ডেস্কঃ- বাংলাদেশের আমদানি নীতির জেরে পশ্চিমবঙ্গ সহ দেশের একাধিক রাজ্যে লাফিয়ে বাড়ছে চালের দাম। ফলে আরাও চাপ বাড়তে চলেছে সাধারণ মানুষের পকেটে। উত্তরপ্রদেশ, বিহারের পর এবার পশ্চিমবঙ্গে চালের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। আর চালের এই মূল্য বৃদ্ধি হয়েছে ১০ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত।
প্রসঙ্গত গত ১৩মে, কেন্দ্রীয় সরকার গম রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছিল। যার কারণে রপ্তানিকারকরা আটা রপ্তানি বাড়িয়েছিল। মাসে প্রায় এক লাখ টন আটা রপ্তানি করে রপ্তানিকারকরা। ফলে ভারতের বাজারে আটার দাম বেড়ে যায়। গত কয়েকদিন ধরেই ধারণা করা হচ্ছিল, গমের পর চাল রপ্তানি নিষিদ্ধ করতে পারে ভারত। এদিকে ভারতের চাল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্তের আশঙ্কায় চাল আমদানি বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। দেশে চালের মজুদ বাড়াতে ভারত থেকে চাল আমদানি শুরু করেছে বাংলাদেশ। যার জন্য চালের আমদানি শুল্ক ব্যাপকভাবে কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতের এই প্রতিবেশী দেশ। চালের আমদানি শুল্ক ও শুল্ক ৬২.৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করা হয়েছে। আর বাংলাদেশের এই সিদ্ধান্তের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে ভারতের বাজারে। ভারতের শুধুমাত্র উত্তরপ্রদেশ, বিহার এবং পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশে চাল রপ্তানি করা হয়। ফলে বাংলাদেশের এই সিদ্ধান্তের পর উত্তরপ্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গের অনেক জায়গায় চালের দাম লাফ দিয়ে বেড়েছে ১০ থেকে ২০ শতাংশ। বিশেষ করে বাসমতি চালের দাম আরও বাড়বে। সর্বনিম্ন মানের বাসমতি চাল, যার দর ১৫০৯ টাকা প্রতি কুইন্টাল, এইবার তা প্রতি কুইন্টাল ৩০০০ টাকার উপরে যেতে চলেছে।
উল্লেখ্য রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বের অনেক দেশেই খাদ্যশস্যের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। যার প্রভাব বাংলাদেশেও পড়তে শুরু করেছে। এছাড়া বাংলাদেশে বন্যায় কারণে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ কারণে বাংলাদেশ যত দ্রুত সম্ভব চাল আমদানি করতে দেশে চালের মজুদ বৃদ্ধি করতে চাইছে, যাতে দেশে খাদ্য সংকট তৈরি না হয়। এ অবস্থা চলতে থাকলে চালের দামও আরও বাড়বে বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞরা।
