রঞ্জিত সর্দার, ক্যানিংঃ- ক্যানিং পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রের ক্যানিং এস ডি ও অফিস থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে প্রকাশ্যে ক্যানিং মাতলা নদীর মধ্যে প্রতিদিন ফেলা হচ্ছে ময়লা আর্বজনা,প্লাস্টিক,থার্মোকল। ক্যানিং বাজারের সমস্ত ময়লা আর্বজনা ফেলার ফলে এই করোনা ভাইরাস মহামারীর সময়ে এলাকায় একদিকে যেমন অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ হয়ে উঠেছে তেমনি দূর্ষিত হচ্ছে ক্যানিং মাতলা নদীর জল। ফলে অসুস্থ হয়ে পড়ছে পশুপাখি থেকে শুরু করে জীবকূল এমনি অভিযোগ এলাকাবাসী। এদিকে যেখানে ময়লা আর্বজনা ফেলা হচ্ছে সেখান থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে ক্যানিং পোর্স্টস কমপ্লেক্স স্টেডিয়াম। এই স্টেডিয়ামে তৈরি হয়েছে কোভিড-১৯ হাসপাতাল। আর এই ভাবে মাতলা নদীতে ময়লা আর্বজনা ফেলায় আতঙ্কিত এলাকাবাসী। এদিকে ক্যানিং মাতলা নদীতে এই ভাবে প্লাস্টিক,থার্মোকল ময়লা আর্বজনা ফেলার জন্য নদীর জোয়ারের জলে টানে এই সমস্ত ময়লা আর্বজনা নদীর চড়ে আটকে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ম্যানগ্রোভ গাছের। ক্যানিং এস ডি ও অফিসের ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে গড়ে উঠেছে নব নির্মিত পাখিদ্বীপ ম্যানগ্রোভ জঙ্গল। আর ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এই জঙ্গলও। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে ২০০১ সালে সজনেখালিতে একটি হরিণ মারা গেলে ময়না তদন্তে সেই মৃত হরিণের পেট থেকে পাওয়া গিয়ে ছিল প্লাস্টিক। তারপর থেকে সুন্দরবনের নদীতে প্লাস্টিক,থার্মোকল ফেলা নিষিদ্ধ করা হয়। কেউ নদীতে প্লাস্টিক থার্মোকল ফেললে জেল জরিমানা উভয় আছে। অথচ আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে প্রকাশ্যে এই ভাবে ফেলা হচ্ছে ক্যানিং নদীতে প্লাস্টিক থার্মোকল ময়লা আর্বজনা। আর জেনে শুনে নীরব দর্শকের হয়ে বসে আছে বিভাগীয় দফতর গুলি। এমনকি ভারতের প্রচীন ক্যানিং শহরে আজও গড়ে উঠেনে ময়লা আর্বজনা ফেলার স্থায়ী ভ্যাট। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যখন রাজ্যুজুড়ে উন্নয়নের ঢাকঢোল পেটাচ্ছে, তখন সুন্দরবনের প্রবেশ দ্বার ক্যানিংয়ের চিত্রটা এরকম।