সংবাদদাতা, মালদাঃ- বেশ কিছুদিন ধরেই কার্টুন দেখা ছেড়ে দিয়ে ক্রাইম থ্রিলার সিনেমা দেখা শুরু করেছিল ১২ বছরের একটি ছেলে। এমনকি বাড়ির পরিজনেরাও ক্রাইম থ্রিলার সিনেমা দেখতে মানা করেন নি ছেলেটি কে। ক্রাইম থ্রিলার সিনেমাই যে ছেলেটির প্রান কেড়ে নেবে তা ঘুনাক্ষরেও বুঝতে পারেন নি পরিবারের সদস্যরা। হ্যাঁ, এরকমই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মালদার গাজোল থানার পান্ডুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ধুয়াদিঘি গ্রামে। ক্রাইম থ্রিলার সিনেমার নকল করতে গিয়েই গলায় দড়ির ফাঁস লাগিয়ে মৃত্যু হল ১২ বছরের এক স্কুল ছাত্রের। মৃত ওই ছেলেটির নাম রজনীকান্ত সাহা সে মালদার গাজোল থানার পান্ডুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ধুয়াদিঘি গ্রামের বাসিন্দা। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মা, বাবা ছাড়া ওই ছেলেটির কেউই ছিল না। বুধবার সন্ধ্যে বেলায় রজনীকান্তের মা, বাবা বাড়িতে ছিলেন না। পরে তারা বাড়িতে এসে দেখেন যে তাদের ছেলের দেহ ঘরের ফ্যানে ঝুলছে। সঙ্গে সঙ্গে রজনীকান্তের মা, বাবা ওই ভয়ানক দৃশ্য দেখে চিৎকার করেন। এরপরেই পাড়া প্রতিবেশীরা সঙ্গে সঙ্গে তাদের ঘরে আসেন। চোখে জল নিয়ে রজনীকান্তের মা সরস্বতী দেবী বলেন, “বুধবার আমরা কেউই বাড়িতে ছিলাম না, বাড়িতে ফিরে এসে দেখি রজনীকান্ত সিলিং ফ্যানে ঝুলছে। তার মা এও বলেন যে, বেশ কিছুদিন যাবৎ রজনীকান্ত ক্রাইম থ্রিলার দেখছিল। এর সেটাকেই নকল করতে গিয়েই এমন কান্ড ঘটাল সে”। এরপরে গাজোল থানার পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং রজনীকান্তের দেহটি কে উদ্ধার করে। ইতিমধ্যেই রজনীকান্তের দেহটি কে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ এটাও খতিয়ে দেখছে যে, সত্যিই কি ক্রাইম থ্রিলার দেখে রজনীকান্তের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ রজনীকান্তের বাবা, মা এর সাথেও জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে, অন্যদিকে ছেলের মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছে গোটা পরিবার।