eaibanglai
Homeএই বাংলায়ষষ্ঠ দফা ভোটের আগে রাজ্যে মমতা-মোদী-রাহুল

ষষ্ঠ দফা ভোটের আগে রাজ্যে মমতা-মোদী-রাহুল

নিউজ ডেস্ক, এই বাংলায়ঃ এক, দুই করে লোকসভা ভোটের পাঁচ দফার ভোট শেষ। হিংসা, ছাপ্পা, অভিযোগ, পাল্টা-অভিযোগ সমস্ত কিছুই এই পাঁচ দফার ভোটে প্রত্যক্ষ করেছে রাজ্যবাসী। এবার অপেক্ষা ষষ্ঠ দফার। যেখানে বিহার, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, ঝাড়খন্ড, দিল্লী ও হরিয়ানা রাজ্যের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের আটটি লোকসভা কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ হবে। সেগুলি হল- তমলুক, কাঁথি, ঘাঁটাল, ঝাড়গ্রাম, মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রে গৃহীত হবে ষষ্ঠ দফার ভোট। আগামী ১২ই এপ্রিল এই আটটি কেন্দ্রে লোকসভা ভোটের ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া। তাই হাতে আর মাত্র কয়েকটা ঘণ্টা। শেষমুহূর্তের প্রচারে কোনোরকম খামতি রাখতে নারাজ শাসক, বিরোধী কোনও দলগুলিই। কোথাও উন্নয়নের খতিয়ান, আবার কোথাও হিংসা আবারও কোথাও চলতি লোকসভা ভোটে ঘটে যাওয়ায় নানা ঘটনার উদাহরণ তুলে ধরে শাসক ও বিরোধী দলগুলিকে পেছনে ফেলে ভোট শুরুর আগে সাধারণ মানুষের কাছে এগিয়ে থাকার লড়াইয়ে নেমেছেন বিভিন্ন দলের প্রার্থীরা। একদিকে প্রার্থীদের হয়ে ভোট প্রচারে প্রত্যেক দিন যখন বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুর, ক্যানিং, পুরুলিয়া সহ বিভিন্ন কেন্দ্রে প্রচারে গতি আনছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তখন পিছিয় নেই বিজেপি দলের অন্যতম কান্ডারী তথা দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। একের পর এক প্রচারে রাজ্যে বারংবার আসছেন প্রধানমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং নরেন্দ্র মোদীর মধ্যে যখন রাজ্যে ভোট প্রচারের লড়াই অব্যাহত তখন এই নির্বাচনী প্রচারে বাংলায় পিছিয়ে থাকতে নারাজ কং যুবরাজ রাহুল গান্ধী, আর তাই মঙ্গলবারই পুরুলিয়ায় ভোট প্রচারে আসছেন কংগ্রেস যুবরাজ রাহুল গান্ধী। এককথায়, ষষ্ঠ দফা ভোটের আগে রাজ্যে পুরোদমে ভোট প্রচারে দেশের হেভিওয়েট নেতৃত্ব। তবে রাজ্যে একের পর এক হেভিওয়েট নেতৃত্বদের প্রচারের মাঝেও থমকে নেই রাজ্যের বিভিন্ন দলীয় নেতৃত্ব ও প্রার্থীদের ভোট প্রচারও। তাই বাঁকুড়ার কোতুলপুর নেতাজী মোড়ে বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের দলীয় প্রার্থী সুনীল খাঁ-র সমর্থনে নির্বাচনী জনসভায় কর্মী সমর্থকদের উজ্জীবিত করলেন সিপিএম নেতা তথা বিধায়ক সুজন চক্রবর্তী। ‘কাস্তেতে ভালো করে শান দিন, আগাছাগুলো কেটে দিন। তৃণমূল মুছে যাবে আর বিজেপি পালিয়ে যাবে’। মঙ্গলবার ঠিক এইভাবেই নির্বাচনী জনসভায় কর্মী সমর্থকদের উজ্জীবিত করলেন সিপিএম নেতা। তাঁর বক্তব্য, কৃষকের ফসলের ন্যায্য দাম ও ১৮ হাজার টাকা নুন্যতম মজুরি এবং বয়স্কদের ছ-হাজার টাকা পেনশনের সহ একাধিক দাবি নিয়েই বামেরা লোকসভা নির্বাচনে নেমেছে।সেই দাবি আদায় করেই ছাড়বে বাম শিবির। এখানেই থেমে না থেকে তৃণমূলত্যাগী বিজেপি নেতা মুকুল রায় ও অর্জুন সিংকে এক হাত নিয়ে জানান, মুকুল রায় আগে তৃণমূলের হয়ে দল ভাঙানোর খেলা খেলতেন, এখন বিজেপির হয়ে সেই কাজ করছেন, আর অর্জুন সিংকে “দুনিয়ার তোলাবাজ” বলে কটাক্ষ করেন তিনি। বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের দলীয় পর্যবেক্ষক হিসেবে অনুব্রত মণ্ডলের নাম ঘোষণা হওয়ায় সুজন চক্রবর্তীর বক্তব্য, পুলিশকে বোমা মারতে আর বিরোধীদের ঘরে আগুন লাগাতে শিখিয়েছেন উনি, যে দলে এই ধরণের নেতৃত্ব থাকে সেই দলের পক্ষে রাজ্য চালানো কঠিন।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments