eaibanglai
Homeএই বাংলায়রাজ্যের লকডাউন কে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে দেদার মানুষ বাজারে চায়ের দোকানে ও...

রাজ্যের লকডাউন কে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে দেদার মানুষ বাজারে চায়ের দোকানে ও খেলার মাঠে

নিজস্ব সংবাদদাতা, দুর্গাপুরঃ– বিশ্বজুড়ে মারণ রোগ করোনা ভাইরাসের দাপটে ইতিমধ্যে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আমাদের দেশ ভারতবর্ষে এখন এটি তৃতীয় পর্যায় চলছে। কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বেশ কিছু জায়গায় ‘লকডাউন’ করে রাখার অনুরোধ করা হয়েছে সাধারণ জনতার উদ্দেশ্যে। কিন্তু কিছু মানুষ সেই ‘লকডাউন’ কে উপেক্ষা করে দেদার ঘুরে বেড়াচ্ছেন বাজারে, চায়ের দোকানে ও সকাল বেলায় শারীরিক কসরতে করতে খেলার মাঠে। ইতিমধ্যেই ভারতবর্ষের যে অবস্থা হয়ে দাঁড়িয়েছে তাতে ভারতবর্ষে মৃত্যুর মিছিল অব্যাহত থাকবে তা বলা বাহুল্য। পশ্চিমবঙ্গে ইতিমধ্যে একজন করোনাভাইরাস আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। বহু মানুষ এখনো এই মারণ রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছে। পুলিশ প্রশাসনের মাইকিং এর পরেও মানুষজন তা না মেনে বিভিন্ন সময় রাস্তায় বেরিয়ে পড়ছেন নিজেদের খেয়াল খুশি তে। কিছু মানুষ আবার এই সময়টিকে ফাঁকা রাস্তা ভেবে গাড়ি শেখানোর এক উত্তম সময় বলে মনে করে নিজেদের প্রিয়জনদের কে নিয়ে গাড়ি শেখাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন রাস্তায়। আমরা এতদিন জানতাম শিল্পাঞ্চল দুর্গাপুরে শিক্ষিত ও সু সমাজের মানুষরা বাস করেন কিন্তু গত কয়েক দিনের ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল যে এখানে শিক্ষিত বদলে অশিক্ষিত সংখ্যায় খুব বেশি। যারা সাধারণ মানুষের কথা না ভেবে তাদের পরিবারের কথা না ভেবে দেদার আড্ডা মেরে বেড়াচ্ছেন চায়ের দোকানে, বাজারে, খেলার মাঠে। শিল্পাঞ্চল বাসীরা বেশ ক্ষোভের সাথে জানালেন যতক্ষণ না লাঠির ভাষা এদের উপর ব্যবহার করা হচ্ছে ততদিন এরা শুনবে না। তাই অবিলম্বে রাজ্য সরকারের উচিত পুলিশ ছাড়াও প্যারা মিলিটারি ফোর্স ও রেপিড অ্যাকশন ফোর্স কে অবিলম্বে শহরের আনাচে-কানাচে টহল দেওয়া বন্দোবস্ত করতে । এখনো যদি ভারতবর্ষ তথা রাজ্যের মানুষ এই করোনাভাইরাস নিয়ে সচেতন না হয়ে গৃহবন্দি না থাকেন এই কয়েকটা দিন তাহলে যে মৃত্যুর মিছিল বের হবে তা বলাই বাহুল্য ।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments