সংবাদদাতা, বাঁকুড়া:- এই মুহূর্তে গোটা বিশ্বে আতঙ্কের আরেক নাম নোবেল করোনাভাইরাস। বিশ্বের মানুষের চাওয়া পাওয়া গুলোকে, জীবনযাত্রাকে কেমন যেন পাল্টে দিয়েছে। বর্তমান কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়ে নাজেহাল অবস্থা গোটা বিশ্বের সাধারণ মানুষের।
আর এমতাবস্থায় বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুর থানার ভড়া পঞ্চায়েতের ভড়া গ্রামের স্বামী রাসবিহারী দাস কাঠিয়া বাবা বৃদ্ধালয়ের বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা কেমন রয়েছে তা জানতে বৃদ্ধালয়ে পৌঁছে গিয়েছিল আমাদের ক্যামেরা। যেখানে দেখা গেল বর্তমান কঠিন পরিস্থিতিতে বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের মধ্যে রয়েছেন। আর তাদের মুখে হাসি ফোটাতে বদ্ধপরিকর বৃদ্ধালয় পরিচালন কমিটি । এই বৃদ্ধালয়টি ” ভরা ধনঞ্জয় দাস পল্লী উন্নয়ন সেবা কেন্দ্র ” পরিচালনা করে থাকেন। মূলত বিভিন্ন সহৃদয় ব্যক্তি বিভিন্ন সময়ে অর্থ সাহায্য করেন এবং তার ওপর নির্ভর করে বৃদ্ধালয়টি চলে। তবে দেশে লকডাউন শুরু হওয়ায় সাধারণ মানুষের হাতে অর্থ সংকট দেখা দিয়েছে ফলে সেভাবে এখন আর্থিক সহযোগিতার ইচ্ছা থাকলেও তারা করতে পারছেন না। এই বৃদ্ধালয়ে পাঁচজন বৃদ্ধ এবং কুড়িজন বৃদ্ধা রয়েছেন। আর তাই পরিচালন কমিটি কোনরকমে অনেক কষ্টে বৃদ্ধালয়টি পরিচালনা করছেন ,তাকিয়ে রয়েছেন সরকারি সহযোগিতায় দিকে।
স্বামী রাসবিহারী দাস কাঠিয়া বাবা বিদ্যালয়ের সম্পাদক বলাই চন্দ্র গড়াই বলেন , এখন বিদ্যালয়টি চালাতে অসুবিধার মধ্যে পড়তে হচ্ছে। যখন লকডাউন ছিলনা তখন অনেকেই আসতো এবং আর্থিক সহযোগিতা করত। কিন্তু বর্তমানে তা আর হচ্ছে না। ফলে নিজেরা কিছু কিছু দিয়ে এবং ধারদেনা করে এই মুহূর্তে চালাতে হচ্ছে বৃদ্ধালয়টি। তবে মাঝেমধ্যে সরকারি আধিকারিকরা ব্যক্তিগতভাবে তাদের সহযোগিতা করেন এমনটাই জানেন তিনি। এই মুহূর্তে তিনি সরকারের কাছে আবেদন করেন সরকার একটু সহযোগিতা করলে খুবই ভালো হয়। অনিতা দাস রিক্তা কর্মকার নামের দুই বৃদ্ধা বলেন , বর্তমান এই কঠিন পরিস্থিতিতে সরকার আমাদের একটু সহযোগিতা করলে খুবই ভালো হয়।
তবে মানবিক মুখ্যমন্ত্রী সর্বদাই মানুষের পাশে থেকে মানুষের জন্য কাজ করেন। তাই তারাও আশাবাদী সরকার অবশ্যই তাদের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবেন।