eaibanglai
Homeএই বাংলায়বহু শোকতাপ পেলেও সংসারী জীবের হুঁশ ফেরে না!

বহু শোকতাপ পেলেও সংসারী জীবের হুঁশ ফেরে না!

সঙ্গীতা চ্যাটার্জী (চৌধুরী),বহরমপুরঃ- বদ্ধ জীব বহু কষ্ট পায় তবুও তার ভগবানের কথা মনে পড়ে না, সে ভগবানকে ডাকে না। রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব এ প্রসঙ্গে বলেছেন,“ বদ্ধজীবের- সংসারী জীবের-কোন মতে হুঁশ আর হয় না৷ এত দুঃখ, এত দাগা পায়, এত বিপদে পড়ে, তবুও চৈতন্য হয় না ৷ উট কাঁটা ঘাস বড় ভালবাসে ৷ কিন্তু যত খায় মুখ দিয়ে রক্ত দরদর করে পড়ে, তবুও সেই কাঁটা ঘাসই খাবে, ছাড়বে না ৷ সংসারী লোক এত শোক-তাপ পায় ৷ তবু কিছু দিনের পর যেমন তেমনি ৷ স্ত্রী মরে গেল, কি অসতী হল, তবু আবার বিয়ে করবে ৷ ছেলে মরে গেল কত শোক পেলে, কিছুদিন পরেই সব ভুলে গেল ৷ সেই ছেলের মা, যে শোকে অধীর হয়েছিল, কিছুদিন পরে চুল বাঁধল, গয়না পরল। এরকম লোক মেয়ের বিয়েতে সর্বস্বান্ত হয়, আবার বছরে বছরে তাদের মেয়ে ছেলেও হয় । মোকদ্দমা করে সর্বস্বান্ত হয়, আবার মোকদ্দমা করে। যা ছেলে হয়েছে তাদেরই খাওয়াতে পারে না, পরাতে পারে না , ভালো ঘরে রাখতে পারে না , আবার বছরে বছরে ছেলে হয় ! আবার কখনও কখনও যেন সাপে ছুঁচো গেলা হয় ৷ গিলতেও পারে না , আবার উগরাতেও পারে না ৷ বদ্ধ জীব হয়তো বুঝেছে যে সংসারে কিছুই সার নাই, আমড়ার কেবল আঁটি আর চামড়া ৷ তবু ছাড়তে পারে না। তবুও ঈশ্বরের দিকে মন দিতে পারে না ৷”

এরপর বদ্ধ জীবের উদাহরণ দিয়ে পরমহংসদেব বলেছেন,“কেশব সেনের একজন আত্মীয় পঞ্চাশ বছর বয়স , দেখি তাস খেলছে ৷ যেন ঈশ্বরের নাম করবার সময় হয় নাই। বদ্ধ জীবের আর একটি লক্ষণঃ তাকে যদি সংসার থেকে সরিয়ে ভাল জায়গায় রাখা যায়, তাহলে হেদিয়ে হেদিয়ে মারা যাবে ৷ বিষ্ঠার পোকা বিষ্ঠাতেই বেশ আনন্দ। ওইতেই বেশ হৃষ্টপুষ্ট হয় ৷ যদি সেই পোকাকে নিয়ে ভাতের হাঁড়িতে রাখ, মরে যাবে ৷”

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments