সংবাদদাতা, বাঁকুড়া :- বাঁকুড়া জেলার ওন্দা থানার জ্বরকাবাইদ গ্রামের প্রাচীন পারিবারিক দুর্গাপুজোর জৌলুস আজও অম্লান। পারিবারের দাবি এই পুজো প্রায় দুশো বছরের পুরানো। সম্ভবত উমাচরণ চক্রবর্তী এই পুজোর প্রতিষ্ঠাতা। বর্তমানে তাঁর বংশধর হরিপদ চক্রবর্তীর ভাগ্নে প্রাক্তন শিক্ষক শ্রী বীরেন্দ্রনাথ গোস্বামী মহাশয় এই পুজো আয়োজন করেন। প্রতিমা গড়ে পূজোর রীতি এখানে। এই পরিবারে দেবী দুর্গার পাশাপাশি পুজিতা হন দেবী লক্ষ্মীও। পুজোয় বংশের প্রাচীন জৌলুস বজায় রাখতে শ্রী গোস্বামী নিজে ও তাঁর পুত্র কন্যাগণ এখনও পুজোর সমস্ত ব্যায়ভার বহন করে চলেছেন। বোধন, নবপত্রিকা থেকে বিজয়া পর্যন্ত সমস্তকিছু শাস্ত্রীয় বিধি ও পরিবারের প্রাচীন রীতি মেনে পালন করা হয়। এই প্রাচীন ঐতিহ্যই পারিবারিক এই পুজোর বিশেষ বৈশিষ্ট্য। আশেপাশে গ্রামের মানুষের মনে আজও ধর্মীয় ভাবাবেগ ও বহু স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে এই পুজকে ঘিরে। তাই জাতি, ধর্ম, বর্ণ, নির্বিশেষে সকল সম্প্রদায়ের মানুষ দূর দূরান্ত থেকে আজও ছুটে আসেন ঐতিহ্যবাহী এই পারিবারিক পুজোয় যোগ দিতে। পুজোর দিনগুলো রীতিমত উৎসবক্ষেত্রে পরিণত হয় জ্বরকাবাইদ গ্রাম। সন্ধি পুজো ও বলিদান ( আখ ও কুমড়ো) এই পুজোর বিশেষ আকর্ষন। নেই আলোর অতিশয্যা, প্যান্ডেলের নিপুণ কারুকার্য। তবুও স্থানীয় গ্রামের মানুষের কাছে এখনও জৌলুস হারায়নি পারিবারিক এই পুজো।
তবে করোনা মহামারী হেতু এবছর প্রসাদ বিতরণ, পুজো দেওয়া, পুষ্পাঞ্জলী ও বিজয়ার অনুষ্ঠান বন্ধ থাকবে বলে পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে। যদিও কোভিড -19 বিধি মেনেই পারিবারিক রীতি ও শাস্ত্রীয় বিধি অনুসরণ করে এবারের পুজোর আয়োজন করা হবে বলে জানিয়েছেন মাননীয় প্রাক্তন শিক্ষক তথা বর্তমানে এই পুজোর আয়োজক শ্রী বীরেন্দ্রনাথ গোস্বামী মহাশয়।