সংবাদদাতা, বাঁকুড়া :
২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে সিপিএম একেবারে ধরাশায়ী। এবার রাজ্যে তাদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন সিপিএম। আর সেই মতই আজ পাত্রসায়ের ব্লকের পাত্রসায়ের মোরে ৩০ মিনিট পথ অবরোধের শামিল হন সিপিএম কর্মীরা এবং সেখান থেকে একটি মিছিল করে পাত্রসায়ের পঞ্চায়েতে তাদের দাবি সম্বলিত একটি ডেপুটেশন দেন। আজ সমগ্র জেলার ২৩ টি ব্লকে এই কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।
যে গরিব মানুষের এই চার বছর ধরে ১০০ দিনের কাজ আমাদের গোটা জেলা জুড়ে কাজ বন্ধ আছে কাজ পাচ্ছে না, তাই একশো দিনের কাজ যাতে তারা পেতে পারে, মজুরি সাড়ে তিনশ টাকা করার দাবিতে, কৃষক যাতে কৃষি পেনশন পেতে পারে, গরিব খেটে খাওয়া মানুষ যাদের ৬০ বছর হয়েছে তারা যাতে বার্ধক্য ভাতা পেতে পারে, এবং যারা ক্ষেতমজুর বিধবা মহিলা তারা যাতে বিধবা ভাতা পেতে পারে, কৃষক তাদের উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য দাম পায় এবং অসংগঠিত ক্ষেত্রে শ্রমিকদের ন্যূনতম বেতন ১৮ হাজার টাকা করতে হবে, যেটা কেরলে সিপিএম সরকার গোটা দেশে করে দেখিয়েছে, আমরা চাইছি আমাদের রাজ্যে ও শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি আঠারো হাজার টাকা করা হোক, সরকারি নিয়োগে যে দুর্নীতি হচ্ছে, যুবক-যুবতীদের নিয়ে যে ছিনিমিনি খেলা হচ্ছে, এটা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে, এই ধরনের একাধিক দাবি-দাওয়া নিয়ে আজ সিপিএম নেতৃত্ব পাত্রসায়ের পঞ্চায়েতে ডেপুটেশন দিল সিপিএম।

জেলা কমিটির সদস্য লালমোহন গোস্বামী বলেন, আগামী দিনে আমাদের এই দাবি দেওয়া মানা না হলে আরো বৃহত্তর আন্দোলনের পথে আমরা নামব। এবং আগামী দিনে পাত্রসায়ের ব্লক সিপিএম আরো শক্তিশালী হবে বলে তিনি আশাবাদী।
পাত্রসায়ের পঞ্চায়েত প্রধান পূরবী মল্লিক দত্ত বলেন, আমাদের উন্নয়ন হচ্ছে এবং আগামী দিনে হবে। তবে উনাদের দাবি-দাওয়া আমরা শুনলাম। যেগুলো আমাদের পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে করা সম্ভব সেগুলো অবশ্যই করবো। আর যে সমস্ত কাজগুলো পঞ্চায়েতের পক্ষে করা সম্ভব নয় সেগুলো আমরা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানাবো। তিনি বলেন ১০০ দিনের কাজের দিক থেকে পাত্রসায়ের পঞ্চায়েত এক নম্বরে রয়েছে।