সঙ্গীতা চ্যাটার্জী (চৌধুরী),বহরমপুরঃ- ঠাকুর রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব শ্রীমাকে বলেছিলেন তার সূক্ষ দেহ নষ্ট হলেও তিনি রয়ে গিয়েছেন। এ যেন এঘর থেকে ও ঘর যাওয়া। তিনি যে আজও রয়েছেন তার জাজ্বল্যমান প্রমাণ রয়েছে, অনেক সময় বোঝা যায় যে তিনি রয়েছেন। আজ এমনই একটি সত্য ঘটনা বলবো।
সিঙ্গাপুরের ঘটা এই ঘটনা শুনলে বুঝতে পারবেন ঠাকুর আজও রয়েছেন তিনি আমাদের সমস্ত কথা শুনতে পান প্রার্থনা শুনতে পান এবং ডাকে সাড়া দেন। সিঙ্গাপুরে এক ভক্ত মহিলা ঠাকুরের মন্দিরে প্রায়শই আসতেন ও ভক্তি সহকারে ঠাকুরকে প্রণাম করতেন। কিন্তু একটা সময় পর যখন মহিলার হাঁটার শক্তি কমে গেলো তখন তার ঠাকুরের মন্দিরে আসাও বন্ধ হয়ে গেলো তখন তিনি ঘর থেকেই মনেমনে ঠাকুরকে প্রণাম করতে থাকলেন।
একদিন দুপুর বেলা তিনি ঘুমিয়ে ছিলেন তখন তিনি স্বপ্নে দেখেন, ঠাকুর তার সামনে এসে তাকে বলছেন“ভীষণ গন্ধ আমি থাকতে পারছিনা” ঠাকুরের এই আবির্ভাব এবং কথা শোনার পর মহিলার ঘুম ভেঙে গেলো এবং তিনি সাথে সাথে মোহন্ত মহারাজকে ফোন করে পুরো ঘটনাটা বললেন।
মহারাজ এই কথা শুনে তখনই মন্দিরের দরজা খুলে সব কিছু খুঁজতে লাগলেন। কোথাও কিছু নেই, কোনো গন্ধ নেই ,তাহলে? হঠাৎ উনি ফুলদানির কাছে গিয়ে শুঁকলেন,আর অবাক হলেন সেখান থেকে সত্যিই গন্ধ বেরোচ্ছে।
যে রোজ ঠাকুরকে ফুল দেয় সে ফুলদানির জল পাল্টায়নি বেশ কয়েকদিন, ফলে জলে জলে পচা গন্ধ। মহারাজ ঠাকুরের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিলেন আর তখনই ফুলদানির জল পাল্টে দিলেন। ঠাকুর অপরিচ্ছন্ন জিনিস মোটেও পছন্দ করতেন না আর এখনও করেন না ,তার প্রমাণ দিলেন স্বয়ং তিনি!
