সংবাদদাতা, মালদা:- রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন রাজ্যের সমস্ত মানুষকে সুস্বাস্থ্য দেওয়ার জন্য হাসপাতাল ও তার পরিষেবার উন্নতি ঘটানোর জন্য। কিন্তু একথাও সত্যি যে বড় মাপের কোনো ডাক্তারি আজ গ্রামের ধারে কাছে ঘেষতে চাইছেন না, তারা সবসময় শহর লাগোয়া এলাকাতেই থাকতে বেশি পছন্দ করছেন। আর এরই ফলস্বরূপ গ্রাম দাপিয়ে বেড়াচ্ছে একদল ভুয়া চিকিৎসক, যাদের ভুল চিকিৎসায় মারা যাচ্ছেন সাধারণ নিরীহ গ্রামবাসীরা। এমনই এক ঘটনার সাক্ষী রইল মালদার বিহার বাংলার সীমান্তবর্তী এলাকা হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রাম। ডাক্তারের চেম্বারের বাইরে বড় বড় বোর্ডে লেখা জেনারেল ফিজিশিয়ান কিন্তু খোঁজ নিয়ে জানা গেল দশম শ্রেণী ও পাশ করেননি ডাক্তার বাবু। আর এই নিয়ে শুরু হয়ে যায় গ্রামবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক। মোঃ নাদিম নামের এক ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরেই গ্রামের ভেতরে একটি চিকিৎসালয় করে সেখানে তার চিকিৎসার ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন এখানে তিনি সাধারণ গরিব গ্রামবাসীদের কে স্যালাইন দেওয়া থেকে শুরু করে অস্ত্রপ্রচার পর্যন্ত করছেন। সাংবাদিকদের চাপের মুখে ডাক্তারবাবু স্বীকার করে নেন যে তিনি দশম শ্রেণীও পাস নন। কিন্তু বহুদিন ধরে এক প্রতিস্ঠিত এক ডাক্তারের কাছে বাড়ির কাজ করার সুবাদে সে কিছু কাজ ডাক্তারি সম্বন্ধে জেনে ফেলে। আর সেইসব অভিজ্ঞতাকেই সে কাজে লাগাচ্ছে গ্রামে নিজেকে জেনারেল ফিজিশিয়ান পরিচয় দিয়ে চিকিৎসালয় শুরু করেন। তাকে যখন সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন যে কোনো রোগী যদি তার ভুল চিকিৎসায় মারা যান তাহলে কি হবে, উত্তরে তিনি জানান যে তিনি শুধুমাত্র ছোটখাটো অস্ত্রপ্রচার ও সাধারণ রোগ জন্যই চিকিৎসা করেন প্রয়োজন হলে তিনি রোগীকে অন্যত্র যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক এ সমস্ত ঘটনা জানানো হলে তিনি আকাশ থেকে পড়েন তিনি অবিলম্বে ওই ব্যক্তিকে পুলিশ দিয়ে গ্রেপ্তার করানোর কথাও জানান। মালদার জেলাশাসক কৌশিক ভট্টাচার্য মহাশয় বলেন এইরকম ভুয়া ডাক্তার থাকলে এলাকার মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে বেশ চিন্তায় থাকব আমরা, তাই আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি এবং অবিলম্বে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেব।