সংবাদদাতা, শ্রীনিকেতন :-
এবছর ২৮৫ তম বছরে পা দিল সরুল সরকার বাড়ির দূর্গা পুজা । এই সরকার বাড়ি অতীতে জমিদার বাড়ি নামে পরিচিত ছিল, বর্তমানে মানুষেরা সরুল রাজবাড়ি নামে জানে। দীর্ঘ সময় ধরে একই চিরাচরিত প্রথা তে দশভুজা আরাধনা করা হয় । জমিদার পুজো মানে ইতিহাস। সেই ইতিহাস সংক্ষেপে স্বপন সরকার দশম পুরুষ জানান প্রথমে শ্রীনিবাস সরকার তাঁর কোনো পুত্র সন্তান ছিল না এই সময় বাসুদেব ভট্টচার্য গুরুদেবের প্রসাদ খেয়ে সন্তান লাভ করেন । তিনি ঠিক করেন দূর্গা প্রতিমা প্রতিষ্ঠা করার সিদ্ধান্ত নেয়। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি আমলে এই মন্দির নির্মাণ খরচে হয় মাত্র ৪৮ হাজার টাকা। কৃষ্ণনগর কারিগরি মাত্র ১২৫ টাকায় মূল্যে তে তৈরি করে। ওই সময় থেকে বেলজিয়ামের থেকে ঝাড় বাতি লাগানো হয়েছে এবং এখনো হয়ে আসছে । এই প্রতিমার দশভুজা সহ সমস্ত দেব দেবীর গহনা ও অলঙ্কার খাঁটি সোনা ও রুপোর হয়।

ষস্টি থেকে দশমি পর্যন্ত জমজমাট হয়ে থাকা সরকার বাড়ি। ১২০ জন সদস্য রয়েছে মোট পরিবারের, যারা দেশ বিদেশ থেকে এখানে ছুটে আসে। শ্রীনিকেতন কাশীপুর লাগোয়া অনেক জমি জামা রয়েছে যা দেবত্র ট্রাস্টি বোর্ড গঠন করা হয়েছে যা থেকে এই প্রতিমার খরচ বহন করা হয় । এখনো পর্যন্ত প্রতিমা নিরঞ্জন হয় কাঁধে করে। যারা প্রতিমা নিরঞ্জন কাঁধে দায় তাদের সবাই কে অর্থ ও জমি দেওয়া আছে। পর্যটকদের অনেকেই মনোহকামনা পূরণের জন্য আসে দশভুজা কাঁধে দিয়ে বিসর্জন যাই। একাদশী দিন দেবির বিসর্জনের পর পরিবারের ছেলে মেয়েরা গ্রামের আসে পাশে ছেলে মেয়েরা সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অংশ গ্রহণ করে ওই দিনে। চারদিন ভূরিভোজের আয়োজন থাকে ৫০ কেজির ছানার মিষ্টি ,নাড়ু ,নিমকি ইত্যাদি তৈরি করা হয়। সব মিলিয়ে দারুন ভাবে সরুল সরকার বাড়ি দূর্গা পূজা আনন্দের সাথে কাটে একই সঙ্গে শহর বাসিদের উপস্থিত তে বেশ জমজমাট হয়ে ওঠে এই প্রতিমা মন্ডপ । অপেক্ষা তে দিন গুনচ্ছে সরুল সরকার বাড়ির সদস্যেরা।