সংবাদদাতা,বাঁকুড়াঃ- বিজেপি মহিলা মোর্চার মণ্ডল সভানেত্রী কৃষ্ণা হালদারের বাড়ি ঢুকে হুমকি, মারধর ও জোর করে মোবাইল কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল বাঁকুড়া জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক নিতাই চক্রবর্ত্তীর বিরুদ্ধে। সোমবার সকালে তালডাংরার সাতমৌলি গ্রাম পঞ্চায়েতের মাণ্ডি গ্রামের ঘটনা।
এদিন সকাল থেকে জেলা তৃণমূল সাধারণ সম্পাদক নিতাই চক্রবর্ত্তীর ‘হুমকি’ ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘ভাইরাল’ হয়। যদিও আমাদের তরফে ঐ ‘ভাইরাল’ ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
মহিলা মোর্চা সভানেত্রী কৃষ্ণা হালদারের অভিযোগ, এদিন সকালে সদবদলে তৃণমূল সাধারণ সম্পাদক নিতাই চক্রবর্ত্তী তার বাড়িতে ঢুকে তাকে ও তার মেয়েকে মারধর ও গালিগালাজ করেন। এমনকি তার শাড়িও ছিঁড়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
এবিষয়ে বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুজিত অগস্থী অভিযোগ করেন, পুলিশের উপস্থিতিতেই মহিলা মোর্চা নেত্রী কৃষ্ণা হালদার ও তার মেয়েকে মারধর করেন জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক। এমনকি বিজেপি করার অপরাধে তিনি তিন মাস ‘ঘরছাড়া’ ছিলেন। বাড়ি ফেরার পর তাকে খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
অন্যদিকে অভিযুক্ত জেলা তৃণমূল সাধারণ সম্পাদক নিতাই চক্রবর্ত্তী তার বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তার দাবি, ঐ বিজেপি নেত্রীই ভোটের আগে সপরিবারে তাকে জ্বালিয়ে খুনের হুমকি দিয়েছিলেন। এখন আবার গালিগালাজ শুরু করেছেন। তাকে মারধর বা হুমকি নয়, রাজনীতির উর্দ্ধে উঠে গ্রামের একজন মানুষ হিসেবে ভালোভাবে থাকার পরামর্শ দিয়েছিলেন।