সংবাদদাতা, বাঁকুড়াঃ- এ বছরেও শীতকালীন মরসুমের শুরুতেই প্লাস্টিক ও থারমোকলে ঢেকে গিয়েছে বাঁকুড়ার এক অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র শুশুনিয়া পাহাড়। বাঁকুড়া মেন টাউন থেকে প্রায় ২৪ কিলোমিটার দুরে অবস্থিত এই বিখ্যাত পাহাড়। প্রাচীন ঐতিহাসিক শুশুনিয়া পাহাড় এখন মানুষের সেরা পর্যটন কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। পাহাড়ি ঝর্না, শিল্পীদের অতুলনীয় হাতের কাজ আর প্রকৃতির টানে জেলা ও বিভিন্ন রাজ্য থেকে মানুষের ভিড় নামে এই শীতকালীন মরসুমে।
অবশ্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগেই এই এলাকাটিকে প্লাস্টিক ও থারমোকল মুক্ত বলে ঘোষিত করা হয়েছে। কিন্তু এর পরেও বিভিন্ন পর্যটকদের সদিচ্ছার অভাবে শুশুনিয়া পাহাড় হয়ে উঠেছে এখন প্লাস্টিক নগরী। এমনকি এখানকার দোকানগুলিতেও অবাধে চলছে প্লাস্টিকজাত দ্রব্য বিক্রি। এমনই অভিযোগ পাওয়া গেছে পরিবেশ প্রেমীদের মুখ থেকে। লক্ষ্য করা গেছে, পাহাড়ের পাদদেশে সবুজ ঘাসের মধ্যে যেখানে সেখানে পড়ে আছে ব্যবহার করা প্লাস্টিক, থারমোকলের থালা বাটি।
প্রশাসনের তরফে বাঁকুড়া জেলার অন্যতম এই পর্যটন কেন্দ্র প্লাস্টিক মুক্ত ঘোষনার পরেও ফের প্লাস্টক যুক্ত শুশুনিয়ার ছবি বারবার ফুটে ওঠে। তাই পর্যটকরাও এই নিয়ে খুব অবাক। হয়তো দিন দিন এভাবে চলতে থাকলে পর্যটকের সংখ্যাও দিন দিন কমে যাবে। এর ফলে প্রাকৃতিক ভারসাম্য হারানোর পাশাপাশি, এই অঞ্চলের অর্থনীতিও দিন দিন ভেঙে পড়বে। এমনটাই আশঙ্কা করেছেন অনেকে।
প্রকৃতির রুপ যেখানে অপ্রতীম সেখানে কিছু মানুষের অসচেতনার ছাপ স্পষ্ট লক্ষ্য করা গেছে। কর্ম ব্যস্থতার মাঝে মানুষ এই শীতকালীন মরসুমে এখানে ঘুরতে আসে প্রাকৃতিক সুন্দরতা উপভোগ করতে, এবং বিশুদ্ধ নিঃসাস নিতে। তার পরেও যদি অনান্য পর্যটক কেন্দ্রের মতো শুশুনিয়াও যদি প্লাস্টিক ও থারমোকলের ভান্ডার হয়ে ওঠে তাহলে তো পর্যটকের সংখ্যা দিন দিন কমতে থাকবে এ আর নতুন কথা কি?
এবিষয়ে এলাকাবাসী ও পর্যটক সকলেই কিন্তু সরব। স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, প্লাস্টিক, থারমোকল না ব্যবহারের আবেদন না জানিয়েই বোর্ড লাগিয়েই দায় সেরেছে প্রশাসন। পর্যটন মুরসুমে পুলিশ উপস্থিত থাকলেও তাদের চোখের সামনেই প্লাস্টিক, থারমোকল অবাধে ব্যবহৃত হচ্ছে, কিন্তু তারা চুপ। এমনটাই অভিযোগ পাওয়া গেছে পর্যটকদের মুখ থেকে।
বন দপ্তরের শুশুনিয়া বিট অফিসার সুজিত কুমার সিংহ এবিষয়ে বলেন, আমরা এবার প্লাস্টিক, থারমোকল ইত্যাদি দ্রব্য যাতে ব্যবহৃত না হয় এই ব্যাপারে আমরা কড়া নজরদাড়ি চালাচ্ছি। সাধারন মানুষকেও এব্যাপারে সচেতন করা হচ্ছে। জেলাশাসক উমাশঙ্কররের মতে, জেলার প্রতিটি পর্যক্ষেত্র এলাকার মহকুমা শাসকদের সঙ্গে এবিষয়ে তার আলোচনা হয়েছে। তিনি এও বলেন যে, শুশুনিয়া পাহাড়ে পড়ে থাকা প্লাস্টিক ও থারমোকল দ্রুত সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
Home Flash News শীতকালীন মরসুমের শুরুতেই প্লাস্টিক ও থারমোকলে ঢেকে গিয়েছে বাঁকুড়ার পর্যটন কেন্দ্রগুলি