সংবাদদাতা, কাটোয়াঃ- স্বামী দক্ষিনভারতে পাউরুটি কারখানায় কর্মরত। সেই সুযোগে দিনের পর দিন বাইশ বছরের এক গৃহবধূকে ধর্ষণ করে আসছিল এক ভিলেজ পুলিশ। একেই সম্ভবত; বলে রক্ষকই ভক্ষক।
তবে, শেষমেষ তার জারিজুরি খতম। মঙ্গঁলবার সন্ধ্যায় তাকে গ্রেপ্তার করে, বুধবার সকালে আদালতে পাঠালো জেলা পুলিশ। কাটোয়া মহকুমা আদালতের অতিরিক্ত দায়রা বিচারপতি ধৃত ওই ভিলেজ পুলিশ ষষ্টী গোপাল মাজিকে তিন দিনের জন্য পুলিশ হেপাজতেই পাঠান।
কাটোয়ার কেতুগ্রাম থানার গুড়গ্রামের বাসিন্দা ষষ্টী গোপাল। কয়েকমাস আগে কেতুগ্রাম থানা তাকে ভিলেজ পুলিশ হিসাবে নিয়োগ করে। ফলে এলাকায় ষষ্টীর দাপট বাড়ে। যখন তখন যাকে তাকে ধমকানো, চমকানোর কানাঘুষো খবর আসছিল পুলিশের কানে। তবে, সর্বশেষ খবরে রীতিমতো ধন্দে পড়ে যান থানার পুলিশ কর্মীরা। বর্ধমান পুলিশ সুপারের কাছে দ্রুত খবর পাঠানো হয়। এদিন সন্ধ্যায় পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখারজির নির্দেশে ষষ্টীকে গ্রেপ্তার করা হয় – নির্যাতিতা গৃহবধূর অভিযোগের ভিত্তিতে। তবে, অভিযুক্ত ভিলেজ পুলিশের পরিবারের অবশ্য দাবি, ষষ্টীকে পরিকল্পনা করেই ফাঁসানো হয়েছে। পরিবারের বক্তব্য, “ওই মহিলার স্বামী বাইরে কাজে চলে যাওয়ার পর থেকেই ষষ্টীর সাথে ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়ে ও। কয়েকমাস ধরে ষষ্টীর নিয়মিত যাতায়ত ছিল ওর কাছে”।
দুর্গাপুজোর একাদশীর দিন সন্ধ্যায় গুরগ্রামের প্রতীমা বিসর্জনের জন্য গ্রামে শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। আড়াই বছরের নাতনিকে ওই শোভাযাত্রা দেখানোর জন্য কোলে করে নিয়ে যান মহিলার শ্বশুর, শাশুড়ি। ঘরে তখন একাই ছিলেন যুবতী ওই গৃহবধূ।
এদিকে, প্রায় আধঘণ্টা পর নাতনিকে নিয়ে ঘরে ফিরে নির্যাতিতার শ্বশুড় – শ্বাশুড়ি তাদের পুত্রবধূর সাথে ষষ্টীকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পান। এদিকে, পরিস্থিতি বুঝে গৃহবধূর প্রৌড় শ্বশুরকে ধাক্কা মেরে লাফিয়ে এলাকা ছেড়ে পালায় ষষ্টী।
ভিলেজ পুলিশের হাতে পুত্রবধূকে ধর্ষিতা হতে দেখে উত্তেজিত শ্বশুর তাকে সাথে নিয়ে সটান হাজির হন ষষ্টীর বাড়ী। সেখানে অবশ্য ষষ্টী ও তার পরিবারের দ্বারা আক্রান্ত হন তারা। রাস্তায় ফেলে মারা হয় গৃহবধূকেও।
এরপরই, থানায় যান গৃহবধূ। অভিযোগ, গোড়ায় তাকে ধমকে ফিরিয়ে দেয় কেতুপুর থানা। তারপরই ষষ্টীর পরিবার দাবী করে, ষষ্টীর সাথে পরকীয়ায় লিপ্ত ছিলেন ওই যুবতী গৃহবধূ।