বহরমপুর থেকে সঙ্গীতা চৌধুরীঃ- একবার একটি ছোট বালকের মাতৃবিয়োগ হয়। মাতৃবিয়োগের পর সেই বালক ভগবানের উদ্দেশ্যে কী বললেন জানতে চাইলে আমার লেখাটি শেষ অবধি অবশ্য ই পড়ুন। এই লেখাটিতেটিতে আপনি জানতে পারবেন যে আমাদের জীবনে শোক এলে আমাদের কী করা উচিত? এই লেখাটি ভালো লাগলে বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করবেন যাতে তারাও জীবনের ব্যক্তিগত শোককে অতিক্রম করতে পারেন।
একটি ছোট বালক তার মায়ের সাথে আশ্রমে থাকতো। বালকটি সবসময় তার মায়ের কথা চিন্তা করতো। বালকটির মা ছিলেন ভক্তিমতী নারী। তিনি ভক্ত মানুষদের সেবা করতেন। আধ্যাত্মিক জীবনের প্রতি মা ও ছেলে দুজনেরই এক অসম্ভব টান ছিলো। হঠাত্ বালকটির মা সর্পদংশনে মারা গেলেন। এই আকস্মিক শোকে বালকটি ভীষণ কষ্টপেলো কিন্তু ভগবানের প্রতি সে অভিযোগ করলোনা ভেঙেও পরলোনা।
ভগবানের উদ্দেশ্যে বালকটি বললো- “আমি জানি ভগবান আপনি আমার জন্য কল্যাণকর কিছু ভেবেই আমার মা কে আমার থেকে সরিয়ে নিয়েছেন। আমার আপনার কাছে একটি নিবেদন আপনি আমার উপর কৃপা করুন আমি যেন শোকের সাগরে হারিয়ে না যাই। আপনার কৃপায় আমি যেন নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি।”
কিছুটা বড় হওয়ার পর সেই বালক একদিন নিজেই উপলব্ধি করে কেন ভগবান তাকে মাতৃশোক দিয়েছিলেন। বালকটি ভাবলো সে যাতে ভগবত চিন্তায় নিজেকে পুরোপুরি নিয়োজিত করতে পারে, তাই ভগবান তার মাকে তার থেকে সরিয়ে নিয়িছেন। এই বালকটি ক্রমে আর ও বড় হয়ে ওঠে। তার ঞ্জান বৃদ্ধি পায় আর ও ক্রমে এই বালক ভগবানের একজন একনিষ্ঠ ভক্ত হয়ে ওঠেন। তার নাম ছড়িয়ে যায় ত্রিভূবনে। কে এইবালক? এই বালক হলেন স্বয়ং নারদ মুনি। আপনাদের নিশ্চয় মনে আছে এর আগের দিন লেখা “করোনার গ্রাসে পৃথিবী “তে আমি বলেছিলাম যে কেন ধার্মিক ব্যক্তি ঈশ্বরে অভিযোগ করেন না সেটা পরের দিন বলব। আপনারা হয়ত বুঝতে পারছেন যে একজন ধার্মিক ব্যক্তি সুখে অথবা শোকে সবসমর স্থির থাকৃন কারণ তিনি সব কিছুর মাঝেই ঈশ্বরর কৃপা লক্ষ করেন তাই গভীরদুঃখে ও শোকে আমরা চঞ্চল হলেও একজন ধার্মিক স্থির থাকেন।