এই বাংলায় ওয়েব ডেস্কঃ- বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টিকারী করোনা ভাইরাসের থেকে নিরাপদ থাকতে গেলে দুটি জিনিসের অত্যন্ত প্রয়োজন। ১ টি হলো মাক্স। ২ টি হলো হ্যান্ড স্যানিটাইজার।
এই হ্যান্ড স্যানিটাইজার করোনার আবহে যেন রাতারাতি বিখ্যাত হয়ে গেছে। এতদিন মেডিক্যাল এর মধ্যে ব্রাত্য হয়েই ছিলো স্যানিটাইজার। গত ৫৪ বছর আগে এই হ্যান্ড স্যানিটাইজার প্রথম আবিষ্কার করা হয়েছিল। ক্যালিফোর্নিয়ার বেকার্সফিল্ড শহরের একজন ভদ্রমহিলা প্রথম এই স্যানিটাইজার আবিষ্কার করেন। ভদ্রমহিলার নাম হল লুপে হার্নান্দেজ। লুপে হার্নান্দেজ একজন নার্সিং এর ছাত্রী ছিলেন। রোগীর কাছে যাওয়ার আগে ও পরে চিকিৎসক ও নার্সদের বারবার সাবান জল দিয়ে হাত ধুতে হতো। তখন তিনি ভাবলেন যদি সাবান ও জলের পরিবর্তে এমন কিছু আবিষ্কার করা যায় ,যা ডাক্তার ও নার্সরা রোগীদের কাছে যাওয়ার আগে ও পরে ব্যবহার করতে পারবেন তাহলে ভালো হয়। যেমন ভাবা তেমন কাজ। সাবান ও জল ব্যবহার না করে জীবানুকে নষ্ট করার একটি পদ্ধতি আবিষ্কার করলেন ভদ্রমহিলা।
অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তিনি অ্যালকোহল দিয়ে একটি জেল তৈরি করেন আর এর গুনাগুন সফল নাকি বিফল তা জানবার জন্য তিনি নিজের হাতেই সেটি প্রথম প্রয়োগ করেন। আর তাঁর আবিষ্কৃত এই হ্যান্ড স্যানিটাইজার ই আজ আমাদের কাছে এত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান হয়ে উঠেছে। আর হবেনা ই বা কেন? কর্মব্যস্ত জীবনে মানুষের এত সময় কোথায় ব্যাগে করে সাবান জল বয়ে বয়ে নিয়ে যাওয়ার? সেই জায়গায় স্যানিটাইজার কত সহজেই জীবানুকে মেরে ফেলে। স্যানিটাইজারের কয়েক ফোঁটা হাতে নিয়ে দুই হাত কিছুক্ষণ ঘষলেই জীবাণু থেকে মুক্তি। সাবানের মতো এরপর আর হাতে জল দিয়ে ধোওয়ার প্রয়োজন পড়ে না, বা জেল টা হাতে নেওয়ার পরে হাতকে শুকানোর জন্য অপেক্ষাও করতে হয় না। চটজলদি এই সমাধান ব্যস্ততম দিনে আমাদের কাছে আজ সব থেকে প্রয়োজনীয় একটি উপাদান হয়ে উঠেছে। বিশেষত করোনার এই আবহে যখন চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞমহল বারবার হাত ধোয়ার পক্ষে সওয়াল করছেন। তখন স্যানিটাইজার ই আমাদের একমাত্র হাতিয়ার।