eaibanglai
Homeএই বাংলায়বড়দিন কেন হয়?

বড়দিন কেন হয়?

সঙ্গীতা চ্যাটার্জী (চৌধুরী),বহরমপুরঃ- কয়েকদিন বাদেই আসছে ২৫শে ডিসেম্বর আর ২৫ শে ডিসেম্বর মানেই বড় দিন। বড়দিন কথাটা মাথায় এলেই আমাদের সবার আগে মাথায় আসে, যীশু খ্রীষ্টের জন্মদিন। বিদেশের সাথে সাথে ভারতেও ধুমধাম করে পালিত হয় বড় দিন। বাড়িতে বাড়িতে আলো জালানো হয়, ক্রিস্ট মাস ট্রি তৈরি করা হয়, তৈরি করা হয় নানান রকম কেক,পেস্ট্রি। বিদেশে জন্ম হলেও মহামানব যীশু খ্রীষ্ট ভারতীয়দের বড় আপন, তার বাণী আমাদের পথ চলার পাথেয়।

জন্মের পর থেকেই ঈশ্বর পুত্র যীশু খ্রীষ্ট মানুষের মনের মধ্যে থাকা হিংসা-বিদ্বেষ মুছতে ও মানুষের মনের মধ্যে ঈশ্বর প্রীতি, ভালোবাসা ও পারস্পারিক সৌভ্রাতৃত্ব জাগাতে সারা জীবন চেষ্টা করে গিয়েছেন, এমনকি নিজে নিজের আত্ম বলিদান দিয়ে ক্রুশ বিদ্ধ‌ও হয়েছেন। ক্রুশ বিদ্ধ হয়ে, অসম্ভব শারীরিক কষ্ট সহ্য করে‌ও যীশু তার শত্রুদের ক্ষমা করে গিয়েছেন, তার পিতা মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে তার শত্রুদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন কারণ তিনি ভালোবাসার বাণী ছড়াতে এসেছিলেন জগতে।

কিন্তু অনেকেই হয়তো জানেন না যে,খ্রিস্টান ধর্মের পবিত্র গ্রন্থ বাইবেলে যীশু খ্রীষ্টের কোন জন্ম তারিখ‌ই দেওয়া নেই! তাহলে বড়দিনে যীশুর জন্মের ধারণাটা কোথা থেকে এলো এই প্রশ্ন মনে আসা স্বাভাবিক! আসলে ৩৩৬ খ্রিস্টাব্দে যীশুর জন্মের আগে রোমে প্রথম খ্রিস্টান সম্রাটের আমলেই ২৫শে ডিসেম্বর প্রথম বড়দিন হিসেবে উদযাপন করা হয়েছিল। এর কয়েক বছর পর পোপ জুলিয়াস আনুষ্ঠানিক ভাবে সেই তারিখটিকে যীশুর জন্মদিন হিসেবে ঘোষণা করে জানান যে, ঐ তারিখেই বেথেলহেম নগরের এক গো শালায় কুমারী মা মেরির কোলে আবির্ভূত হয়েছিলেন মানব ত্রাতা যীশু খ্রীষ্ট। পরবর্তীতে ঈশ্বর পুত্র যীশু খ্রীষ্টের কথা স্মরণ করেই পঁচিশে ডিসেম্বর বড়দিন পালন হয় ভারতে।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments