এই বাংলায় ওয়েব ডেস্কঃ- ঘরের কোনও কাজে সাহায্য করেন না স্বামী। ঘর ও বাইরের সমস্ত কাজ করতে হয় স্ত্রীকে। আর পায়ের উপর পা তুলে বসে থাকেন স্বামী। স্বামীর প্রতি বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘদিন ক্ষোভ ছিল স্ত্রীর। অবশেষে সেই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ হল সাংঘাতিক। স্বামীকে খুনই করে বসলেন স্ত্রী। আর শুধু খুন করেই ক্ষান্ত হননি। খুনের প্রমাণ লোপাট করতে স্বামীর দেহ টুকরো টুকরো করে কেটে তা রান্না করে ফেললেন। এমনই রোমহর্ষক ঘটনাটি ঘটেছে ইউরোপের দেশ সার্বিয়ায়।
জানা গেছে গত ১০ মে রাতে স্বামী সর্ডজানকে খাবার বানানোর জন্য সাহায্য করতে বলেন বছর ৪৬-এর টেরেসা । কিন্তু স্বামী তাতে রাজি হন নি। এরপরই খাবারের সঙ্গে নেশার ওষুধ মিশিয়ে স্বামীকে বেহুঁশ করে ফেলেন টেরেসা। এরপর বার বার ছুরি দিয়ে তার শরীরে আঘাত করে খুন করেন। পরে মৃতদেহ লোপাট করতে দেহ টুকরো টুকরো করে কেটে বড় কড়াইতে রান্না করে ফেলেন।
এই ঘটনা যখন ঘটাচ্ছেন টেরেসা তখন বাড়িতে উপস্থিত ছিল আগের পক্ষের মেয়ে। সে এই নৃশংস ঘটনা দেখে ফেলে ও পুলিশকে জানায়। অন্যদিকে স্বামীকে খুন করে গোটা ঘটনা চাপা দিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে রেহাই পাননি টেরেসা। আপাতত পুলিশি হেফাজতে রয়েছে সে।
জানা গেছে ৪ বার বিবাহিতা টেরেসা শেষ দুবছর স্বামী সর্ডজানের সঙ্গে থাকছিলেন। এর মধ্যে স্ত্রীর অভিযোগের দরুণ ১ মাস জেলে কাটাতে হয় বছর ৪২-এর সর্ডজানকে । এমনকি মাস কয়েক আগেও টেরেসা সর্ডজানকে ঘুমন্ত অবস্থায় বিছানায় আগুন ধরিয়ে মারার চেষ্টা করেছিল বলে অভিযোগ। সেই যাত্রায় প্রাণে বেঁচে গেলেও এবার আর শেষ রক্ষা হল না।