এই বাংলায় ওয়েব ডেস্কঃ- তৃতীয় লকডাউনে সুরাপ্রেমীদের জন্য থাকছে সুখবর। মার্চ মাস থেকে দীর্ঘ যে লকডাউন চলছে তাতে সুরাপ্রেমীদের কষ্ট হচ্ছিল কারণ মদের দোকান ছিলো বন্ধ। এইবার তৃতীয় দফার লকডাউনে খুলতে চলেছে মদের দোকান। ৩ রা মে র লকডাউন বেড়ে হলো ১৭ মে অবধি। অনেকেই হতাশ হলো। কিন্তু করোনা কে প্রতিরোধ করতে এর অতিরিক্ত আর কী ই বা করার ছিলো এই মুহূর্তে? যেহেতু এখনো অবধি করোনার ভ্যাকসিন বের হয় নি তাই এই লকডাউনই একমাত্র পথ। আর এই দীর্ঘ লকডাউন মানার ফলেই করোনা সংক্রমণ কে নিয়ন্ত্রণে আনা গেছে। তাই কেন্দ্র আরও একবার লকডাউনকে দীর্ঘায়িত করার পথেই হাঁটলেন।
করোনা সংক্রমণ অনুযায়ী গোটা দেশকে কতগুলি জোনে ভাগ করা হয়েছে।রেড জোন- করোনার সংক্রমণ এর হার বেশী। অরেঞ্জ জোন- সংক্রমণ মাঝারি। গ্রীণ জোন -সংক্রমণ নেই বিগত একুশ দিন ধরে। এখন জানা গেলো যে মদের দোকান গ্রীন জোনেই খোলা যাবে।গ্রীন জোনে মদের দোকানে র পাশাপাশি পানের দোকান ও খোলা যাবে।তবে এই মদের ও পানের দোকান খোলা যাবে কতগুলি শর্তের ভিত্তিতে। এই শর্ত মানতে যদি রাজি হয় দোকানদাররা তবেই মদের দোকান খোলা রাখার ছাড়পত্র দেওয়া হবে।আবার এই শর্তগুলি র লঙ্ঘন করা হলে প্রশাসন নেবে আইনি ব্যবস্থা।
কী কী শর্ত মানতে হবে এই দোকান খোলার ক্ষেত্রে?
সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ই হলো এই মুহূর্তে করোনা সংক্রমণ রোখার একমাত্র পথ। তাই মদের দোকান গুলোতেও কোনোভাবেই ঠেসাঠেসি করে দাঁড়ানো যাবে না। দোকানের সামনে একসাথে পাঁচ জনের বেশি খদ্দের দাঁড়াতে পারবেন না। মদের দোকানে কর্মচারী ও খদ্দের পরস্পর পরস্পরের সাথে দূরত্ব ছয় ফুট দূরত্ব বজায় রাখবে।
ছাড়পত্র পাওয়ার পর ও এই নিয়ম মানা হচ্ছে কি না সেদিকে তীক্ষ্ণ নজর রাখবে প্রশাসন। সে ক্ষেত্রে শর্ত না মানলে পরিস্থিতি জটিল হবে, আইনানুগ ব্যবস্থা গৃহীত হবে। তাই হেমলক সোসাইটির সেই বিখ্যাত ডায়লগ ইডিট করে বলি- মদ খাবেন? খান কিন্তু প্লিজ ছড়াবেন না (করোনার সংক্রমণ)।