সংবাদদাতা, বর্ধমান:- হাসপাতাল থেকে শিশু চুরির ঘটনায় তদন্তের প্রাথমিক পর্যায়ে মিলল শিশু চুরির নেপথ্যে ছিল শিশু বিক্রির ঘটনা। মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে এইরকমই ইঙ্গিত দিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, একেবারে পরিকল্পিত ভাবেই ধৃত ওই মহিলা বর্ধমান হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। শিশু চুরিই ছিলতাঁর প্রাথমিক লক্ষ্য। এরপরতা বিক্রি করারও চেষ্টায় ছিলেন তিনি। উল্লেখ্য, গত ১৫ জানুয়ারী অভিযুক্ত মহিলা মধুমিতা ব্যানাজ্জী বৈরাগ্য ওরফে পিংকি বর্ধমান মেডিকেলে ভর্তি হয়। সেই দিনই ভর্তি হন শিশুর মা রিমা মালিকও। রবিবারই দুজনকেই ডিসচার্জ করা হয়হাসপাতাল থেকে। অভিযুক্ত নিজের ইচ্ছাতেই ডিসচার্জ নেয়। এরপরই হাসপাতাল থেকে সরকারি সাহায্য পাইয়ে দেবার নামে তাদের নিয়ে যাওয়া হয় অনাময় হাসপাতালে। সেখান থেকেই শিশুকে নিয়ে চম্পট দেয় মহিলা। এরপরই এক যুবক সহ দুর্গাপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয় মহিলাকে। মহিলা গ্রেপ্তার হওয়ার পরই শিশুকন্যা তাঁর বলে দাবী করে। এরপরই পুলিশ মহিলার মেডিকেল করানোর সিদ্ধান্ত নেয়। বর্ধমান মেডিকেলে পরীক্ষা করানোর পর মহিলার কোনো অন্তস্বত্ত্বার প্রমান মেলে নি। এরপরই শিশুকন্যাকে তাঁর মা বাবার হাতে তুলে দেওয়া হয়। এদিকে, ধৃত মধুমিতাকে নিয়ে তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছেন, ওই দিন শিশুটিকে চুরি করে সে প্রথমে তাঁর বাপের বাড়ি রায়নায় নিয়ে যায়। দর হাঁকে প্রায় দেড় লাখ টাকা। কিন্তু প্রয়োজনীয় টাকা না পাওয়ায় তিনি শিশুটিকে না দিয়ে তিনি দুর্গাপুরে তাঁর ভাড়া বাড়িতে স্বামীর সঙ্গে ফিরে যান। প্রাথমিক তদন্তে এই ঘটনা সামনে আসার পর পুলিশ তাঁর বক্তব্যের সত্যতা জানতে কাকে তিনি শিশু বিক্রি করতে চেয়েছিলেন তা জানার চেষ্টা করছে। পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, গোটা বিষয়টিতে আরও তদন্ত এবং প্রমাণ দরকার। নাহলে আসল সত্যিটা বলা যাচ্ছে না।